আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে টাকা দিলে মিলে সেবা ও ঔষধ, রোগীদে অভিযোগ
আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি (হবিগঞ্জ): ড্রেসিং করাতে টাকা দিতে হয় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগের যেন শেষ নেই। রোগী নিয়ে আসলে ঠিকমত পাওয়া যায় না ডাক্তার, দেওয়া হয় না ঔষধ আবার টাকা দিলে ঠিকই ঔষধ মিলে। রোগীদের সাথে ডাক্তারের খিটখিটে আচরণ সহ বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়া যায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরদের কাছ থেকে।
উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালনি পাড়ার বাসিন্দা রুহুল আমিন জানান, আমার পায়ে সামান্য ব্যাথা পেয়েছিলাম তার পর হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে ড্রেসিং করাতে গেলে আমার কাছে ১০০ টাকা চাওয়া হয় টাকা না দিলে ড্রেসিং করা হবে না বলে জানান দায়িত্বরত একজন , ভুক্তভোগী রুহুল আমিন জানান আমি হয়তো ১০০ টাকা দিয়ে দিলাম আমার সামর্থ্য আছে, কিন্তু যাদের সামর্থ্য নেই তারা কি চিকিৎসা নিতে পারবে না?
একই গ্রামের মিজানুর রহমান জানান আমার ১০ বছরের ছেলেকে ৪ দিন হাসপাতালে ভর্তি রেখে আজ তারা বলছেন হবিগঞ্জ প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করার জন্য।
এদিকে সদর ইউনিয়নের শারমিন আক্তার নামের একজন জানান- আমার মেয়েকে ইমারজেন্সি বিভাগে ডা. যোবায়ের কে দেখিয়েছিলাম, আমার বাচ্চার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আবার দু দিন পর ডা.যোবায়েরকে দেখাতে নিয়ে আসলে তিনি ফার্মেসীর দোষ দিয়ে বলেন হয়তো তারা (ফার্মেসী) ঔষধ পরিবর্তন করে দিয়েছে, কিন্তু যাচাই করে দেখা যায় ব্যবস্থাপত্রে যা লেখা সেই ঔষধ খাওয়ানো হয়েছিল। পরে ডা. হাসানুজ্জামান এসে আগের ঔষধ দেখে দুটো ঔষধ ফেলে দিয়ে বলেন এইগুলা কেন দিলো, তার পর তিনি ( ডা. হাসানুজ্জামান ) নতুন ঔসধ লিখে দেন। শারমিন আরও জানান ডা. যোবায়ের মুলত যে রোগের ঔষধ দেওয়ার কথা তিনি এমন কোন ঔষধই দেন নাই। তিনি আমার বাচ্চাকে ভালোভাবে দেখেন নাই দুর থেকে দেখে ঔষধ লিখে দিয়ে দিয়েছেন।
বদলপুর ইউনিয়নের রুবেল মিয়া জানান- আমি গিয়েছিলাম ঔষধের জন্য আমাকে বলেছে ঔষধ নেই, কিন্তু অন্য একজন টাকা দেওয়ায় তাকে ঔষধ দিয়েছে । সদর ইউনিয়নের চিকিৎসা নিতে আসা জমিলা বেগম জানান এখানকার ডাক্তার ও সিস্টারদের সাথে কথা বলা যায় না তারা খুবই বিরক্ত হয় রোগীদের সাথে কেমন খিটখিটে আচরণ করেন। অভিযোগ রয়েছে এনসিডি বিভাগে ডায়বেটিকস পরিক্ষা করতে জনপ্রতি ২০ টাকা নেওয়া হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইকবাল হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- আমাদের হাসপাতালে টাকা দিয়ে কোন ঔষধ বিক্রি করা হয় না, আমাদের যথেষ্ট পরিমাণ ঔষধ মজুদ আছে, যারা এই অভিযোগ করেছেন তারা যদি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত