সোনারগাঁয়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মুক্ত আলোচনা সভা

| আপডেট :  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৩  | প্রকাশিত :  ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৭:০৩

আল আমিন কবির, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে অটিজম আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে মুক্ত আলোচনা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে অটিজম ও নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিজ এবিলিটিজ (এনডিডি) বিষয়ক মুক্ত আলোচনা ও কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ ৩ সোনারগাঁও আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল কায়সার।

বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০ টায় উপজেলার চৌধুরী গাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

চৌধুরী গাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালাউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও কর্মশালা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ্ আল-কায়সার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক (Naand প্রকল্প) প্রফেসর ড. সুধাংশু রঞ্জন রায়। চৌধুরী গাঁ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি কামরুজ্জামান। রিসোর্স পার্সন ছিলেন, কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মাষ্টার ট্রেইনার মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (Naand প্রকল্প) এ এস এম ফজলে রাব্বী।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে নারায়ণগঞ্জ – ৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল্লাহ্ আল-কায়সার বলেন, অটিজম আক্রান্ত শিশু ও বয়স্কদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়তার প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ২০০৭ সালে ২ এপ্রিলকে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ হিসেবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর থেকে প্রতি বছর দিবসটি পালন করা হচ্ছে। একসময় অটিজম ছিল একটি অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যু। এ সম্পর্কে সমাজে নেতিবাচক ধারণা ছিল।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা ও স্কুল সাইকোলজিস্ট সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নিরলস প্রচেষ্টায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অটিজম বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে এ বিষয়ে দেশে কাজ শুরু করেন। সায়মা ওয়াজেদ এ অবহেলিত জনস্বাস্থ্য ইস্যুতে তার বিরাট অবদানের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি অর্জন করেন।

মানসেবার ব্রত উত্তরাধীকার সূত্রেই পেয়েছেন সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। নানী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা, নানা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মা দেশরত্ন শেখ হাসিনা ও বাবা পরমাণু বিজ্ঞানী ওয়াজেদ মিয়া। প্রত্যেকেই নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন মানবসেবায়। পরিবারের সেই ধারা বজায় থেকেছে সায়মা ওয়াজেদের কর্মকাণ্ডেও। আর একবিংশ শতাব্দীতে এসে বিশেষত বাংলাদেশে
অটিজমসংক্রান্ত ধারণা দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকে। বর্তমানে অটিজম নিয়ে বাংলাদেশ তথা বিশ্বজুড়েই নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। সবার মধ্যে বেড়েছে সচেতনতা। বাংলাদেশেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যায় অটিজম আক্রান্তরা নানাভাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন। এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল।

অটিজম শিশুরা অন্য শিশুদের মতোই, শুধুমাত্র তাদের বিকাশ জনিত সমস্যা রয়েছে। আমরা সবাই যদি তাদের বাড়তি যত্ন, তাদের পরিবারের প্রতি ও সামাজিকভাবে আরো দায়িত্বশীল হই তাহলেই তারা অন্য শিশুদের মতো স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠবে। এসময় তিনি সকল বিদ্যালয়ে অটিজম শিশুদের ভর্তি নিশ্চিত করে ও তাদের প্রতি শিক্ষকদের বাড়তি যত্ন নেওয়ার আহ্বান জানান।

মুক্ত আলোচনা ও কর্মশালা অনুষ্ঠানে এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মোস্তফা কামাল নিলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ এনামুল হক বিদ্যুৎ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাসেল, বিদ্যালয়ের কো-অপট পীর মোহাম্মদ, শম্ভুপুরা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইবনে সিনা প্রপেল প্রমুখ ।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত