দুমকি উপজেলা নির্বাচন: প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সম্ভব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা
পটুয়াখালীর দুমকীতে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সরগরম রাজনৈতিক, সামাজিক ও শুশীল মহল। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদ-প্রত্যাশীরা ইতিমধ্যে নানা কৌশল অবলম্বন করে নিজের প্রার্থীতার জানান দিচ্ছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশ, কর্মী সভা, তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্রীড়া সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে উপস্হিত, মাহফিল ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগদান, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে হাটবাজার গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় জনসংযোগ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুভেচ্ছা, অভিনন্দন, উঠান বৈঠক ও দোয়া চাওয়ায় সরগরম হয়ে উঠেছে সর্বমহল।
এছাড়াও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক লবিং গ্রুপিং চলছে পুরোদমে। উপজেলার আনাচে কানাচে হোটেল কিংবা চায়ের দোকানে হরহামেশা নির্বাচনী সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে চলছে রসাত্মক সমীকরন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়,
৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত দুমকি উপজেলার মোট ভোটার ৭১হাজার ৭৫৫ এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩৬ হাজার ১৭০ এবং নারী ভোটার সংখ্যা ৩৫ হাজার ৫৮ জন।
সরেজমিনে দেখা যায়, ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিতব্য আগামী ২৯মে আসন্ন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে দুমকী উপজেলায় ইতিমধ্যে সমগ্র নির্বাচনী এলাকায় জনসমর্থন আদায় করতে শোডাউন, শুভেচ্ছা বিনিময় ও কর্মী সংগ্রহে তোড়জোড় চালাচ্ছেন সম্ভব্য প্রার্থীরা।
তারা হলেন,
১.সাবেক কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক, পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের সাবেক পরিচালক, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও দুমকী উপজেলা পরিষদের প্রথম নির্বাচিত এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ড. হারুন-অর-রশীদ হাওলাদার। তিনি ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন পেশাজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভা, রাজনৈতিক ও সামাজিক সভা-সমাবেশ, হাটবাজার, পাড়ায় মহল্লায় ভোটারদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় ও ভোট প্রার্থনা, সম্মিলিত নাগরিক মঞ্চ ও নতুন প্রজন্মের ব্যানারে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
২. নির্বাচন মুখী পরিবারের সদস্য হিসেবে পরিচিত, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা কমিটির সদস্য, সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, পটুয়াখালী চেম্বার অফ কমার্সের সদস্য ও দুমকী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান সিকদার। তিনি এলাকায় ইতিমধ্যে নিজের প্রার্থীতা ও সমর্থন চেয়ে দোয়া প্রার্থনা করছেন এবং হাট- বাজার, সামাজিক -সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক, ধর্মীয় অঙ্গনে সমর্থনের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। উপজেলার সর্বত্র জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।
৩. ঢাকাস্হ দুমকি উপজেলা জনকল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, দুমকি উপজেলা বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মাওলানা মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও শুশীল মহলে ব্যাপক প্রস্তুতি চালাচ্ছেন।
৪.সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, পায়ারা সিরামিক ইন্ডাজট্রিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান ও পায়রা সপিং পয়েন্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজিং পার্টনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান। তিনি বিভিন্ন হাটবাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পাড়ায় মহল্লায় উঠান বৈঠক, কর্মীসমর্থকদের নিয়ে শোডাউন এবং সর্বমহলে যোগাযোগের মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
৫.আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নতুন মুখ হিসেবে ইতিমধ্যেই এলাকায় ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন, মাল্টা আওয়ামীলীগের সভাপতি, হাওলাদার ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ কাওসার আমিন হাওলাদার। তিনি বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মিডিয়া, ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সেবামূলক কাজ, উঠান বৈঠক,গ্রাম ও হাটবাজারে নিজের প্রার্থীতার ব্যাপারে বাপক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
৬. পটুয়াখালী জজকোর্টের সাবেক এপিপি, দুমকী উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা কৃষক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট মোঃ হুমায়ূন কবির বাদশা। তিনি ইতিমধ্যে উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারে, পাড়ায় মহল্লায় জনসাধারণের সাথে কুশল বিনিময় ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
তবে আসন্ন দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে শেষ পর্যায়ে কত জন প্রার্থী চূড়ান্ত লড়াইয়ে অবতীর্ণ হবেন তা নিয়ে রাজনৈতিক ও শুশীল মহলে চলছে নানা হিসাব নিকাশ এবং আগামী ২মে মনোনয়ন পত্র দাখিলের পর নিশ্চিত করে বলা যাবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত