সীমান্ত হত্যা ও নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও

| আপডেট :  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭  | প্রকাশিত :  ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৪৫

লন্ডনে কমিউনিটি ভিত্তিক ২১ টি মানবাধিকার সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম গ্লোবাল বাংলাদেশিস এলায়েন্স ফর হিউম্যান রাইটস (জিবিএএইচআর)মানবাধিকার সংস্থার আয়োজনে ইংল্যান্ডে বসবাসরত বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও ও বিক্ষোভ করা হয়।

গত ২২ এপ্রিল বিক্ষোভ চলাকালে নরেন্দ্র মোদী ও আদানির মুখোশ সম্বলিত প্রতিকৃতিতে জুতার মালা পরিয়ে বিক্ষোভকারীরা তাদের তীব্র ক্ষোভ ও ঘৃণা প্রকাশ করেন।

এরআগে সোমবার দুপুর ১২ টা থেকেই সেন্ট্রাল লন্ডনের টেম্পল এলাকায় ইন্ডিয়ান হাউজের সামনে পুরো অল্ডউইচ এলাকা জুড়ে বাংলাদেশীদের জমায়েত শুরু হয়। বেলা ২ টায় বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশীদের বিক্ষোভে গোটা এলাকা মুখরিত হয়ে উঠে। সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বাংলাদেশে হস্তক্ষেপ বন্ধের দাবীতে এই কর্মসূচি পালিত হয়।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠক এবং কর্মীরা এবং রাজনৈতিক নেতা কর্মীরা। বিক্ষোভে সভাপতিত্ব করেন জিবিএএইচআর আহবায়ক সাপ্তাহিক সুরমা পত্রিকার সম্পাদক শামসুল আলম লিটন।

লেখক ও কালামিষ্ট রাকেশ রহমান ও সিনিয়র ফেলো রুপম রাজ্জাকের সঞ্চালনায় বিক্ষোভে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বিশ্বখ্যাত আলোকচিত্রী ড. শহিদুল আলম।

ড. শহিদুল আলম বলেন, ২০২৪ সালের ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসেও ভারত আমাদের ২টি লাশ উপহার দিয়েছে। এসব নিয়ে বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক সরকার শেখ হাসিনার কোন মাথা ব্যাথা নেই। কারণ শেখ হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভারতের দালালী করছে। এসব করে ভারত আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে আমরা বাংলাদেশিরা ভারতের দাস।

আরো বক্তব্য রাখেন- মানবাধিকার ব্যক্তিত্ব পিনাকী ভট্টাচার্য।ভার্চুয়াল বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের এই কর্মসুচি ধারাবাহিকভাবে থাকবে এবং ভারত যদি আমাদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে চায় তাহলে অতি সত্তর বাংলাদেশের রাজনীতিতে নিরপেক্ষতার উদাহরণ দেখাতে হবে। না হয় আমাদের আন্দোলন শুধু ভারতীয় পণ্য বর্জন নয়, বাংলাদেশ থেকে সকল ভারতীয় স্বার্থ উচ্ছেদ করা হবে।

মানবাধিকার সংগঠন একুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল’র ক্যাম্পেইন সেক্রেটারি ও মানবধিকারকর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এখন ভারতীয় কাঁটাতারে বন্দি। বাংলাদেশের যত গুম, খুন, হত্যা ও রাহজানি হচ্ছে এর মূলে রয়েছে ভারতীয় মদদ। শেখ হাসিনা তার ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখার জন্য ভারতীয় দালালি করছে।

স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাসির উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য প্রথমে ভারতকে বয়কট করতে হবে। এছাড়া অবৈধ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা যাবে না। কারণ শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিলিয়ে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে শামসুল আলম লিটন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে বিপন্ন করে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এর দায় সম্পূর্ণ ভাবে নরেন্দ্র মোদী আর বাংলাদেশের অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহন করতে হবে।

সঞ্চালক লেখক রাকেশ রহমান বলেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা আর যাই হোক ভারতীয় অগ্রাসন আর মেনে নিতে পারছি না।

বিক্ষোভে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের সিনিয়র ফেলো ও সিনিয়র ড্যাটা ইন্জিনিয়ার রুপম রাজ্জাক, ব্যারিষ্টার জাকির হাসান, টিভি সাংবাদিক শেখ মুহিতুল রহমান বাবলু, নিরাপদ বাংলাদেশ চাই এর সভাপতি মুসলিম খান, অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রায়হান আহমেদ, ই আর আইয়ের সহ সভাপতি মোঃ ওসমান গনি, সহ সভাপতি মোঃ রোকতা হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, অর্থসম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদুল হাসান, ফাইট ফর রাইট ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন চৌধুরী, মহিলা নেত্রী অন্জনা আলম, মানবাধিকার সংগঠন একুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনাল সাধারণ সম্পাদক নওশিন মুস্তারি মিয়া, মাইনোরিটি সেক্রেটারি তাহমিনা আক্তার, এ্যাডভোকেট সুফিয়া পারভীন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও যুক্তরাজ্য বিএনপি নেতা মোঃ নিজাম উদ্দীন, সাংবাদিক মিনহাজুল আলম মামুন।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ বিক্ষোভে আরো উপস্থিত ছিলেন ওলামা দল নেতা শামীম আহমেদ, সাবেক ছাত্র নেতা বর্তমান যুবদল কর্মী মো. ফয়ছল হোসেন , সিলেট মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক, যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা ও মানবাধিকার কর্মী ছদরুল ইসলাম লোকমান, সাবেক ছাত্রনেতা আব্দুল্লাহ আল নোমান, মাছুম আহমেদ, নাহিম আহমাদ, মোছ: জামিলা খাতুন প্রমুখ।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত