প্রলোভনের সত্যতা নেই, তিশা-মুশতাককে অব্যাহতির আবেদন

| আপডেট :  ০২ জুন ২০২৪, ১১:৩৪  | প্রকাশিত :  ০২ জুন ২০২৪, ০৮:১৯

ছাত্রীকে প্রলোভন ও জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগের মামলার তদন্তে রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির সাবেক দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদ ও কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিআইবি)। তদন্ত প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে আসায় তাদের মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়ার আবেদন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাদী সাইফুল ইসলামের পক্ষ থেকে পুনরায় নারাজি দরখাস্ত দেয়া হবে জানিয়ে আদালতে সময় প্রার্থনা করা হয়েছে।

অন্যদিকে, রোববার (২ জুন) শুনানি শেষে ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিচারক শওকত আলীর আদালত পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।

মুশতাক আহমেদের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আজ পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন আসায় আসামিদের মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে শুনানি করি। বাদী সাইফুল ইসলাম পুনরায় নারাজি দরখাস্ত দেয়া হবে জানিয়ে আদালতে সময় প্রার্থনা করেন। আদালত পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে অধিকতর শুনানির জন্য আগামী ১৩ জুন মামলার পরবর্তী তারিখ ধার্য করেছেন।’

গত ১৪ মার্চ মামলাটির অব্যাহতির সুপারিশ করে পুলিশের দেয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুর রহমানের নারাজির আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। ওইদিন নারাজির আবেদন গ্রহণ করে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত।

গত বছর ১ আগস্ট আদালতে মামলাটি দায়ের করেন তিশার বাবা। পরে আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গণ্য করে নিয়মিত মামলার আদেশ দেন।

মামলায় মুশতাকের সঙ্গে আসামি করা হয় ফাওজিয়া রাশেদীকে। পরে মামলা দায়েরে তথ্যগত ভুল হয়েছে উল্লেখ করে আসামিদের অব্যাহতির সুপারিশ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা ও গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা। পরে গত ৩ মার্চ চূড়ান্ত প্রতিবেদনে নারাজি দাখিল করেন মামলার বাদী।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত