যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ‘পাকিস্তানি অস্ত্র’
পুরো দলের কেউ ভারতীয়, কেউ পাকিস্তানের, কেউ আবার দক্ষিণ আফ্রিকান। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এবার তাদের বিশ্বকাপ স্কোয়াড সাজিয়েছে। যেখানে আজ মূল মঞ্চে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে মোকাবিলা করবে স্বাগতিকরা।
বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ খেলে দারুণ এক গর্জন দিয়ে রাখল তারা। এর পর কানাডাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়। সেই ম্যাচের পর হুমকি দিয়ে রাখে ভারত ও পাকিস্তানকে। এবার সেই পাকিস্তান তাদের সামনে। তবে এই ম্যাচে ব্যতিক্রম এক টুইস্ট দুই পাকিস্তানি আলি খান ও সায়ান জাহাঙ্গীর।
এই দু’জন খেলবেন যুক্তরাষ্ট্রের জার্সিতে। যারা কিনা পাকিস্তানে জন্মেছেন এবং সেখানে বেড়ে ওঠার পর যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী হয়ে যান। আজ একাদশে থাকলে তাদের নিজ জন্মস্থানের বিরুদ্ধেই লড়াই করতে হবে। তবে এই দু’জনের একাদশে থাকার সম্ভাবনা অনেকখানি। তেমনটা হলে পাকিস্তানি দর্শকদেরও নজর থাকবে তাদের দিকে।
এদিকে এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রকে টি২০ ফরম্যাটে প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে পাকিস্তান। এর আগে কখনও তাদের বিপক্ষে মাঠে নামেনি তারা। তাই কোনোক্রমে যদি পা হড়কায়, তাহলে বিপদ। বলা যায়, লজ্জায় পড়তে হবে বাবরদের। যদিও ধারেভারে যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে অনেকখানি এগিয়ে পাকিস্তান। টি২০ র্যাঙ্কিং কিংবা অভিজ্ঞতার বিচারে দুই দলের পার্থক্যটা যোজন যোজন। তার পরও ক্রিকেটে অঘটন বলে একটা কথা আছে। যেখানে পাকিস্তান হোক কিংবা অস্ট্রেলিয়া, বড় দলগুলোকে বরণ করতেই হয়।
তাছাড়া এই ম্যাচে পাকিস্তানি তারকা অলরাউন্ডার ইমান ওয়াসিমের না থাকাটা তাদের জন্য বড় ধাক্কা। ইমান বল হাতে কিংবা ব্যাট হাতে ঠিকই দলের জন্য অবদান রাখতে পারতেন। সেটা আর হচ্ছে না। সে ক্ষেত্রে বাবর-রিজওয়ানদের পাশাপাশি পেস আক্রমণে ঝলক দেখাতে হবে শাহিন শাহ আফ্রিদি-মোহাম্মদ আমিরদের।
আর পাকিস্তানের জন্য এই আসরটা অনেকাংশে গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সালের পর তারা এই প্রতিযোগিতায় আশানুরূপ পারফর্ম করতে পারেননি। তাই নবাগত যুক্তরাষ্ট্রকে হারিয়ে দারুণ একটা শুরু করতে চাইবে দলটি। এবার তাদের দলে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের পাশাপাশি তরুণও রয়েছেন। যেটা দলটির জন্য ইতিবাচক। বোলিং আক্রমণ যেমন শক্তিশালী আবার ব্যাটিং লাইনও বেশ লম্বা। সব মিলিয়ে এবার দারুণ কিছু করার স্বপ্ন দেখতেই পারে পাকিস্তান।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত