মিলার কী আউট ছিলেন, নেট দুনিয়ায় চলছে এমন প্রশ্ন!
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৭ রানে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতেছে ভারত। শিরোপা জয়ের পরপরই অবশ্য উঠেছে প্রশ্ন! সেটা ডেভিড মিলারের আউট নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনা।
শেষ ওভারের ঘটনা। শিরোপা ছুঁতে হলে ৬ বলে দক্ষিণ আফ্রিকার দরকার ১৬ রান। প্রথম বলটা করলেন হার্দিক পান্ডিয়া, লং অফ দিয়ে উড়িয়ে দিলেন মিলার। বল বাতাসে ভেসে বাউন্ডারি ছোঁয়ার আগেই দৌড়ে এসে তালুবন্দি করেন সূর্যকুমার। তবে ব্যালেন্স রাখতে না পেরে বাইরে ছুঁড়ে দেন এবং ফিরে এসে ক্যাচ নেন।
সমস্যাটা হয়েছে সূর্যকুমারের পা বাউন্ডারি ছোঁয়া নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিভিউয়ের জুম করা ভিডিওতে দেখা যায়, বল হাতে থাকা অবস্থায় সূর্যকুমারের পায়ের কাছে কিছু একটা নড়ছে। সেটা কি সীমানা দড়ি ছিল? এমন প্রশ্নে সয়লাব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
বাউন্ডারির পাশে ভেসে ওঠা দাগ, যেটাকে সীমানা দড়ি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
বেন কার্টিস নামে একজন লিখেছেন, ‘এটা নিশ্চিত একবারের বেশি দেখা উচিত। এমনিই বলছি। বাউন্ডারির দড়ি মনে হচ্ছে সরে গিয়েছিল।’এক্সে রোহিত শঙ্কর নামে একজন লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুর্ভাগ্যজনক। দড়িটা মূল সীমানালাইন থেকে সরে গিয়েছিল। এটাই হলো বিষয়।’
যদি দড়ি মূল সীমানা থেকে সরে গিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে আইন কী বলে? ক্রিকেটের ‘অ্যালমানাক’ খ্যাত উইজডেন জানাচ্ছে, আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী ১৯.৩ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে সীমানাটির আসল অবস্থান বিবেচনা করা হবে।’
১৯.৩.২ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘সীমানা চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত কোনো কঠিন বস্তু যদি কোনো কারণে বিঘ্নিত (সরে যায়) হয়, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তা ঠিক করতে হবে। খেলা চলতে থাকলে বল ডেড হওয়ামাত্রই এ কাজ করতে হবে।’
সে হিসেবে নেটিজেনদের আলোচনা-সমালোচনা ফেলে দেওয়ার উপায় নেই। সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের দিকটাও আসছে। কেননা মিলার এমন ব্যাটার যার পক্ষে ৫ বলে ১০ রান নেওয়া খুব কঠিন কিছু ছিলো না।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত