দুমকি উপজেলা শ্রমিকলীগের আট মাসে তিন বার কমিটি বদল নিয়ে সমালোচনার ঝড়
দুমকি (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা শ্রমিকলীগের কমিটির মেয়াদ পূর্তি না হতেই আট মাসে তিন বার রদবদলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে টানা সাত বছর উক্ত কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন খন্দকার মোশারেফ হোসেন। পরবর্তীতে ২০২৩ সালের ২০ অক্টোবর মো. মোশারেফ হোসেন হাওলাদারকে সভাপতি ও মনির হাওলাদারকে সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন তৎকালীন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
একই বছরে দুই মাস ব্যবধানে ১১ ডিসেম্বর খন্দকার মোশারেফ হোসেনকে সভাপতি ও মিজানুর রহমান গাজীকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করেন জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি। ওই সময়েও নতুন কমিটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ কমিটির মেয়াদের আট মাসের মাথায় গত ১৫ জুলাই বর্তমান কমিটিকে অবহিত না করে মনির হাওলাদারকে আহবায়ক ও আলম মৃধাকে সদস্য সচিব নির্বাচিত করে সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি ঘোষণা করেন জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক অশোক দাস ও সদস্য সচিব মোঃ সোহাগ । বর্তমান সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি নিয়ে নানা আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। দলের সংকটকালীন সময়ে যারা পাশে ছিলেন তাদেরকে উপেক্ষা করে নতুন আহবায়ক কমিটি দেয়ায় নেতাকর্মীদের মাঝে খুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিভিন্ন মহলে বইছে সমালোচনার ঝড়।
সাবেক কমিটর সভাপতি মোশারেফ হাওলাদারের ভাষ্য,কমিটির মেয়াদের দুই মাসের ব্যবধানে তাঁকে বাদ দিয়ে কিভাবে পূনরায় কমিটি দিলো জেলা সভাপতি তা বোধগম্য নয়। গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এবং সাধারণ সম্পাদককে না জানিয়ে সভাপতি একক স্বাক্ষরে কমিটি দিয়েছেন।
সাবেক কমিটির সভাপতি খন্দকার মোশারেফ হোসেনের বলেন, কমিটির মেয়াদের আটমাসের মাথায় কীভাবে আহবায়ক কমিটি গঠন করা হলো। গঠনতন্ত্র না মেনে এ কমিটি করা হয়েছে। সম্মেলন প্রস্তুত কমিটি গঠন করতে হলেওতো কর্মীসভা করে করতে হয়। জেলা আহবায়ক কাউকে কিছু না জানিয়ে মনগড়া কমিটি দিয়ে দলের ত্যাগী নেতাদের রাজনীতি থেকে বিদায় দিতে পারেননা।গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ দুই বছর হওয়ার কথা। কী এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যে আটমাসের মাথায় কমিটি ভেঙে দিয়ে আহবায়ক কমিটি করতে হবে এমন ক্ষোভ প্রকাশ করলেন এই নেতা।
সবেক জেলা কমিটির সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেনের বলেন, কমিটির মেয়াদ পূর্তির আগে আহবায়ক কমিটি গঠনতন্ত্র পরিপন্থী। অর্থের বিনিময়ে হয়তো এ কমিটি দেয়া হয়েছে।গঠনতন্ত্র না মেনে এরকম কর্মকান্ডে দলীয় শৃঙ্খলা নষ্ট হয় যে কারণে সভাসমাবেশে নেতাকর্মীরা উপস্থিত কম হয়। আর বর্তমানে যিনি আহবায়ক হয়েছেন তিনি তৃনমূলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না হয়তো অর্থের বিনিময়ে কমিটি পেয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা শ্রমিকলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান বলেন, গঠনতন্ত্র মেনেই ২০ অক্টোবর ২০২৩ সালে কমিটি করা হয়েছিল। কিন্তু দুই মাসের ব্যবধানে ১১ ডিসেম্বর যে কমিটি দেয়া হয়েছে সেখানে তাঁর স্বাক্ষর ছিলোনা। সভাপতি একক স্বাক্ষরে কিভাবে বৈধ কমিটি হয় তা তাঁর জানা নেই। কমিটির মেয়াদ পূর্তির আগে আটমাসের মাথায় আহবায়ক কমিটির বিধান নাই।
এবিষয়ে জানতে জেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক অশোক দাসের মোবাইলে ফোন করলেও রিসিভ করেননি এবং সদস্য সচিব মো. সোহাগের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত