সাকিবকে দলে রাখা নিয়ে যা বললেন শান্ত
চেন্নাই টেস্টে ভারতের বিপক্ষে ২৮০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে টাইগাররা। হারের পর অধিনায়কের ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলো বাংলাদেশ ক্রিকেটের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। সংবাদ সম্মেলনে সাকিবকে নিয়ে কঠিন প্রশ্ন ছোড়ার পর, সেটি অনেকটা মজার ছলেই সামলিয়েছেন শান্ত। প্রশ্নের জবাবে মুচকি হেসে অধিনায়ক শুধু বলেছেন, খুব সাহসী প্রশ্ন, মাশাআল্লাহ।
চেন্নাই টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১ ওভার বোলিং করেছেন সাকিব, তবে পাননি কোনো উইকেট। রান খরচও করেছেন বেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় ইনিংসে তার ব্যাট থেকে আসে যথাক্রমে ৩২ ও ২৫ রান। জীবন পেয়েও পারেননি ইনিংস বড় করতে। ফিল্ডিংয়েও সহজ ক্যাচ ছেড়েছেন। যা নিয়ে সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে ধারাভাষ্যকক্ষ, সব জায়গাতেই হচ্ছে সমালোচনা। তাই প্রশ্ন উঠেছে সাকিবকে বাদ দেয়া নিয়ে।
এই পরোক্ষ সমালোচনার উত্তর অধিনায়ক দিয়েছেন অনেকটা কুটনীতিক ধাঁচে। শান্ত বলেন, দলের অধিনায়ক হিসেবে যেটা দেখি, শুধু সাকিব ভাই বলে বলছি না। আমি দেখি যে একজন খেলোয়াড় কতটুকু কষ্ট করছে এবং কামব্যাক করার জন্য যা যা দরকার, সে কাজগুলো করছে কি না, দলের প্রতি ইন্টেনশনটা কী রকম। এই জিনিসগুলো আমি মূলত খেয়াল রাখি। চেষ্টা করি, ওই ক্রিকেটার দলকে দেয়ার জন্য কতটুকু প্রস্তুত, শতভাগ কি না। আমি সবার ক্ষেত্রেই বিষয়টা এভাবেই দেখি। সেটা হোক নাহিদ রানা কিংবা মুশফিক ভাই।
তিনি আরও বলেন, আমি কখনও নির্দিষ্ট কারও পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না। কারণ খেলাটা দলীয়। পুরো দলের অবদানেই কিন্তু একটা ম্যাচ জেতা সম্ভব। সব মিলিয়ে আমরা সবাই মিলে যদি অবদান রাখতাম, ভালো কিছু হতো। তো আলাদা করতে ব্যক্তিগত কাউকে নিয়ে আমি চিন্তিত নই।
এদিকে, চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিন সকালে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সময় জসপ্রীত বুমরাহর একটি ডেলিভারি লাগে সাকিবের হাতে। তাতে আঙুলের ইনজুরি নিয়ে নতুন শঙ্কাও জাগে। পরে এর ব্যাখ্যায় শান্ত জানান, আঙুলের যে ব্যাপারটা, বল লেগেছিল, ওখানে ব্লিডিংও হয়েছিল। যে কারণে টেপ প্যাঁচানো।
উল্লেখ্য, আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর কানপুরের গ্রিনপার্কে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষে টেস্টে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-ভারত। সেই টেস্টের জন্য স্কোয়াড ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। চেন্নাই টেস্টের স্কোয়াডকে অপরিবর্তিত রেখেই দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত