ইতোমধ্যে ভোট পড়ল ২ কোটি ৫০ লাখ, কোন পথে মার্কিন নির্বাচন

| আপডেট :  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩  | প্রকাশিত :  ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূলপর্ব আগামী ৫ নভেম্বর হলেও ইতোমধ্যে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে ফেলেছেন দুই কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ভোটার। একে আগাম ভোট বলা হয়ে থাকে যা সশরীরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে বা ডাকযোগে দেয়া হয়ে থাকে। দেশটিতে আগাম ভোট একটি সাধারণ প্রক্রিয়া, যেখানে ভোটাররা নির্ধারিত ভোটের দিনের (যেমন ৫ নভেম্বর) আগেই ভোট দিতে পারেন।

যে কারণে আগাম ভোট: জরুরি কাজ, স্বাস্থ্যগত সমস্যা, ভ্রমণ, বা অন্য কোন বাধার কারণে অনেক ভোটার নির্ধারিত ভোটের দিন উপস্থিত থাকতে পারবে না বলে যখন জানতে পারেন তখন তিনি আগাম ভোট দিয়ে থাকেন।

এছাড়া নির্বাচনের দিন কেন্দ্রে ভিড় এড়ানোর জন্য আগাম ভোট একটি কার্যকর উপায় বলে বিবেচিত। এতে মূল ভোটের দিন চাপ কমে যায় এবং ভোট প্রক্রিয়া সহজতর হয়। দেশটির অনেক ভোটারদের মেইল-ইন বা ডাকযোগে ভোট দিতে দেয়। বিশেষ করে মহামারির সময়ে এমন পদ্ধতি জনপ্রিয়তা পায়, কারণ এতে ভোটারদের ব্যক্তিগতভাবে কেন্দ্রে যেতে হয় না।

অন্যদিকে, অনেক রাজনৈতিক দল এবং প্রার্থী তাদের সমর্থকদের আগাম ভোট দিতে উৎসাহিত করে, যাতে তারা আগে থেকেই নিশ্চিন্ত হতে পারেন যে তারা সুনির্দিষ্ট ভোটটি পেয়ে গেছেন।

তবে এবারের মার্কিন নির্বাচনে দুই মূল প্রতিদ্বন্দ্বীপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কমলা হ্যারিসের মধ্যে এই আগাম নির্বাচনে কে এগিয়ে রয়েছেন, তা মূল নির্বাচনের আগে জানার কোন সুযোগ নেই।

দেশটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ বা ব্যাটেলগ্রাউন্ড নামে পরিচিত অনেক অঙ্গরাজ্যে ভোটাররা আগাম ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারেন, যা সাধারণত ইন-পার্সন (সশরীরে) এবং মেইল-ইন (ডাকযোগ) পদ্ধতিতে দেয়া হয়ে থাকে। নভেম্বরের নির্বাচনে আগাম ভোটের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য জর্জিয়া, টেক্সাস, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলাইনা, মিশিগান, পেনসিলভানিয়াসহ আরও কয়েকটিতে।

টেক্সাসে অনেকে আগাম ভোট দিয়ে থাকেন, কারণ এটি একটি বড় রাজ্য যেখানে ভোটারের সংখ্যা বেশি।

ব্যাটলগ্রাউন্ড রাজ্য ফ্লোরিডার ভোটাররা আগাম ভোটে ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেন, বিশেষ করে মেইল-ইন ভোটের মাধ্যমে।

জর্জিয়া সাম্প্রতিক নির্বাচনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এবং এখানেও বহু ভোটার আগাম ভোট দিচ্ছেন।

এছাড়া, দেশটির প্রায় প্রতিটি রাজ্যেই কোনো না কোনোভাবে আগাম ভোটের ব্যবস্থা রয়েছে, যদিও প্রত্যেক রাজ্যের নিয়ম ভিন্ন। কিছু রাজ্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ভোটারদের (যেমন, যাদের বিশেষ প্রয়োজন আছে) মেইল-ইন ভোট করার সুযোগ দেয়, আবার অন্য রাজ্যে সব ভোটারের জন্য এই সুবিধা উন্মুক্ত থাকে।

সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের সর্বশেষ ইপসোস জরিপে দেখা গেছে, কমলা হ্যারিস জাতীয়ভাবে সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের তুলনায় অল্প ব্যবধানে এগিয়ে আছেন। তিনি ৪৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন যেখানে ট্রাম্প পেয়েছেন ৪৩ শতাংশ।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত