যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচ: কমলা-ট্রাম্প কেমন ভোটারের সমর্থন পেলেন

| আপডেট :  ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০২  | প্রকাশিত :  ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:০২

 

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গ্রহণ সামনে রেখে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জরিপে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প সমানে সমান টক্কর দিচ্ছেন। দু’জনেই ৪৮ শতাংশ করে মার্কিন ভোটারের সমর্থন পেয়েছেন। দ্য নিউইয়র্ক টাইমস ও সিয়েনা কলেজের চালানো সর্বশেষ জাতীয় জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট গ্রহণের দুই সপ্তাহের কম সময়ের আগে এমন তথ্য দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস দিচ্ছে।

গতকাল শুক্রবার দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জরিপের এমন ফলাফল কমলা হ্যারিসের জন্য আনন্দের নয় বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, সম্প্রতি বেশ কিছু জরিপে তিনি ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। এর আগে কয়েকটি নির্বাচনে জনপ্রিয় ভোটে রিপাবলিকানদের চেয়ে এগিয়ে ছিল ডেমোক্র্যাটরা। ২০২৬ সালে ট্রাম্পের কাছে ইলেক্টোরাল কলেজে তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন হেরে গেলেও জনপ্রিয় ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তবে কমলা দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য– মিশিগান, পেনসিলভানিয়া ও উইসকনসিনে ভালো ফলাফল করবেন বলে প্রত্যাশা করছেন তাঁর সমর্থকরা।

প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক ইতিহাসে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী মাস অতিবাহিত করার পর কমলা ও ট্রাম্প হয়েছেন সমানে সমান। এর মধ্যে ছিল উত্তেজনাপূর্ণ একটি বিতর্ক, দু’বার ট্রাম্পকে হত্যার চেষ্টা, সাত দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্যে কয়েক ডজন র্যা লি এবং প্রচারণার পেছনে শত শত কোটি ডলার ব্যয়। কিন্তু এসবের প্রভাবে পরিস্থিতির তারতম্য হয়নি। দুই প্রার্থীর জনপ্রিয়তা সমতায় এসে ঠেকেছে।

চলতি অক্টোবরের শুরুর দিকে চালানো টাইমস ও সিয়েনা কলেজের জরিপে কিছুটা এগিয়ে ছিলেন কমলা। ট্রাম্পের চেয়ে তিনি ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থাকেন। রিপাবলিকান প্রার্থীর যেখানে জনপ্রিয়তা ছিল ৪৬ শতাংশ, ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর ছিল ৪৯। কিন্তু ক্রমেই পরিস্থিতি পরিবর্তন হতে শুরু করে এবং ট্রাম্প এগোতে শুরু করেন।

বিভিন্ন জরিপে সমতা দেখানোর প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে– ট্রাম্প কি ইলেক্টোরাল ভোটে জয়ী হতে পারবেন? এখন অনেকে বলতে শুরু করেছেন, তিনি হয়তো জনপ্রিয় ভোটে কমলার চেয়ে এগিয়ে যাবেন। গত আট নির্বাচনের সাতটিতেই জনপ্রিয় ভোটে জয় পেয়েছে ডেমোক্র্যাটরা, যদিও ব্যবধান ছিল খুবই অল্প। তবে এবার ভিন্ন হতে পারে। জরিপে দেখা গেছে, ২৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র সঠিক পথে চলছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অ্যাপ্রুভাল রেট বা অনুমোদনের হার ৪০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে কোনো প্রেসিডেন্টই এত কম অনুমোদন নিয়ে হোয়াইট হাউসে ছিলেন না।

জরিপে দেখা গেছে, কমলার জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ রয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প অর্থনীতির মতো গুরুতপূর্ণ ইস্যুতে এগিয়ে আছেন। তবে ট্রাম্পের অনেক দুর্বলতাও আছে। তাঁর সাবেক চিফ অব স্টাফ জন কেলি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ট্রাম্পের সঙ্গে ফ্যাসিবাদী শব্দটি যায়।

এদিকে নির্বাচনে প্রচারণার মাঠে ব্যাপক খরচ করছে কমলা ও ট্রাম্পের প্রচার শিবির। গত ১৬ দিনে তারা ৫০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। তাদের মধ্যে কমলা ব্যয় করেছেন ১৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার। প্রায় এ পরিমাণ অর্থ তিনি গত আগস্ট মাসে ব্যয় করেন। ট্রাম্পের প্রিন্সিপাল কমিটি ১০ কোটি এবং তিনি নিজে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডলার খরচ করেছেন। দুই প্রার্থীর সমর্থকরা বাকি অর্থ খরচ করেন।

 

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত