কিছু চাঁদাবাজ-দখলবাজদের জন্য বিএনপিকে কলঙ্কিত হতে দেয়া যাবে না: ইশরাক

গুটিকয়েক চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের জন্য বিএনপিকে কলঙ্কিত হতে দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন। রোববার (১৬ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর বংশালের নর্থ-সাউথ রোডের সূরিটোলা স্কুল মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য দুই-একজন যে অপকর্ম করছে, তাদের আমরা কোনোভাবেই দলে রাখতে পারব না। যারা আন্দোলন-সংগ্রামে রাজপথে ছিলাম তাদের জন্য আমরা বিতর্কিত হতে পারব না। জনগণের বিরাগভাজন হতে পারব না।
চাঁদাবাজ ও দখলবাজদের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, যথেষ্ট হয়েছে, এদের চিহ্নিত করে দল থেকে বের করে দিতে হবে। কিছু চাঁদাবাজ-দখলবাজদের জন্য বিএনপিকে কলঙ্কিত হতে দেয়া যাবে না।
এদিন বংশাল থানা বিএনপির আয়োজিত রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রদত্ত ‘৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ও জনসম্পৃক্তি’ শীর্ষক ওই অনুষ্ঠানে ৩১ দফা উপস্থাপনের পাশাপাশি সেগুলো বিশ্লেষণ করেন ইশরাক হোসেন।
ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেন, আগামীতে মেধাবৃত্তিক রাজনীতির মাধ্যমে জনগণের মন জয় করে ভোট নিশ্চিত করতে হবে, জনগণের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে। বিএনপির সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য, বিএনপির নেতাদের চরিত্র হরণে একটি মহল উঠে-পড়ে লেগেছে।
তিনি বলেন, বিগত দিনে আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠান লড়াইয়ে বিএনপির একটি সুনাম অর্জিত হয়েছে। জনগণের সহমর্মিতা সমর্থন আমাদের ওপর তৈরি হয়েছে। এখন দুঃখের সঙ্গে বলতে হবে সেটা অনেকখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্বৈরাচার হাসিনার রেখে যাওয়া মিডিয়ার কিন্তু কোনো পরিবর্তন হয়নি। ৫ আগস্টের পর এরা গর্তের মধ্যে ঢুকে ছিল, এখন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এখন আমরা দেখতে পারছি সুপরিকল্পিতভাবে, সংঘবদ্ধভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদের যেভাবে আচার-আচরণ হওয়া উচিত ছিল, সেটা কি শতভাগ করতে পেরেছি? আমাদের মধ্যে কি দোষ-ত্রুটি, ত্রুটি-বিচ্যুতি হয় নেই? আমাদের মধ্যে কেউ কেউ কি অপকর্ম লিপ্ত হয়নি? অবশ্যই হয়েছে। একটা-দুইটা ঘটনা ঘটতে পারে, অপকর্ম সব দলের লোকজনই করছে, সবাই করছে। কিন্তু বিএনপি বড় দল, এখন আমাদের একটু সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। যেহেতু আমাদের সামনে নির্বাচন ছাড়া বিকল্প নেই। তাই জনগণের মনকে জয় করে আমাদের রাজনীতি করতে হবে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনুর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহীর সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, রফিকুল ইসলাম রাসেল, সাবেক কাউন্সিলর মোহাম্মদ মোহন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত