প্রবাসী কর্মীদের দেওয়া হবে ফাইজারের টিকা

| আপডেট :  ২৯ জুন ২০২১, ০৫:০৬  | প্রকাশিত :  ২৯ জুন ২০২১, ০৫:০৬

প্রবাসী কর্মীদের কোয়ারেন্টিন খরচের ঝামেলা থেকে রক্ষায় ফাইজারের টিকা প্রয়োগের ব্যবস্থা করেছে সরকার। চীনের সিনোফার্মের টিকা নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কিছু দেশ আপত্তি জানালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। সৌদি সরকার চীনের সিনোফার্মের টিকা অনুমোদন না দেওয়ায় দেশ থেকে যে সকল প্রবাসী কর্মীরা টিকা নিয়েও সৌদিতে ফিরেছেন তাদেরকে নিজ খরচে কোয়ারেন্টিনে থাকার আদেশ দেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। ফলে শুরুর দিকে সরকার প্রবাসী কর্মীদের অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা করলেও ভ্যাকসিন স্বল্পতার কারণে দেশব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেলে সমস্যা তৈরি হয়।

দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী কর্মীরা তাদের ভ্যাকসিনেশনের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, মর্ডানা এবং জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দাবি করে আসছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাদের দাবিতে সরকার প্রাথমিকভাবে ফাইজার ও পরবর্তীতে মর্ডানার টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা সৌদি আরব ও কুয়েতগামী কর্মীদের ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কিন্তু দেশে যখন মর্ডানার ভ্যাকসিন আসবে, তখন সেটাও তাদের দেওয়া হবে।

সৌদির পাশপাশি কুয়েতও জানায়, ফাইজার, অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মর্ডানা অথবা জনজন অ্যান্ড জনসনের টিকা না নেওয়া কোনো অভিবাসী কর্মীকে ঢুকতে দেওয়া হবে না।

ফাইজারের টিকা প্রদানের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রবাসী কর্মীদের একটা তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। তখন সবার টিকা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করতে পারবেন বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

এ বিষয়ে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সিজের (বায়রা) সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী কর্মীদের জন্য জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকা দাবি করে আসছিলাম। কিন্তু ফাইজারের টিকাও তাদের জন্য ভালো।

গত ৩১ মে কোভ্যাক্স প্রকল্পের আওতায় এক লাখ ছয় হাজার ডোজ ফাইজারের টিকার প্রথম চালানটি দেশে আসে। এরপরই সরকার ঢাকার তিনটি কেন্দ্রে ফাইজারের এই টিকা দিতে শুরু করে। কেন্দ্র তিনটি হচ্ছে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইন্সটিটিউট অ্যান্ড হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত