অষ্টম শ্রেণিতে বিয়ে, দশম শ্রেণিতে এসে লাশ

| আপডেট :  ২৯ জুন ২০২১, ১০:২৪  | প্রকাশিত :  ২৯ জুন ২০২১, ১০:২৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া রাখি খাতুন (১৬) নামে এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার পার ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ভেড়ামারা গ্রামে স্বামী সুজন আলীর বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সুজন ওই গ্রামের মোকসেদ আলীর পুত্র ও সেনাসদস্য। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২ বছর আগে উপজেলার ভেড়ামারা গ্রামের হারুনুর রশিদের কন্যা রাখির সাথে একই গ্রামের সুজনের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় সুজন প্রায় ১০ লাখ টাকা যৌতুক নেন। এর কিছুদিন পরেই সুজনের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি হয়। চাকরী রক্ষার্থে সুজন ও রাখির পরিবার বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে রাখিকে বাবার বাড়িতে রাখেন। একপর্যায়ে তিন চার মাস আগে সুজনের পরিবার রাখিকে গৃহবধূর স্বীকৃতি দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বাড়িতে নিয়ে আসেন। তবে এরই মধ্যে সুজনের সঙ্গে তার এক খালাতো বোনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ নিয়ে সুজন ও রাখির মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরে ঝামেলা চলছিল। কয়েকদিন আগে সুজন ছুটিতে বাড়িতে আসলে এ ঘটনায় স্ত্রীর সাথে তার বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর সুজন কর্মস্থলে চলে গেলে আজ সকালে সুজনের ঘর থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো রাখির ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

তবে রাখির পরিবারের দাবি, সুজনের পরিবারের লোকজন নির্যাতন করে রাখিকে হত্যা করেছে। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।

ঝুলন্ত গৃহবধূর লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এসআই হেমায়েত উদ্দিন বলেন, লাশ উদ্ধার করে থানায় রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় বিকাল একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। আগামীকাল ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে এ বিষয়ে প্রকৃত মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত