উইঘুর ইস্যুতে চীনের পক্ষে ইমরান খান

| আপডেট :  ০৩ জুলাই ২০২১, ০১:০৯  | প্রকাশিত :  ০৩ জুলাই ২০২১, ০১:০৯

আবারও চীনের উইঘুর নীতিকে সমর্থন জানালেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। একই সঙ্গে চীনের একদলীয় শাসন ব্যবস্থার প্রশংসাও করেছেন তিনি। তিনি নির্বাচনের গণতন্ত্রের তুলনায় দেশের একদলীয় ব্যবস্থাকে সমাজের জন্য আরো উন্নত মডেল হিসেবে অভিহিত করেছেন। চীনা কমিউনিস্ট পার্টির শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে চাইনিজ খবর মাধ্যমের একদল প্রতিনিধি ইসলামাবদ সফর করছেন। তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে গতকাল বৃহস্পতিবার ইমরান খান এ মন্তব্য করেন।

এদিকে মানবাধিকার গ্রুপগুলো জিনজিয়াং প্রদেশে মুসলিম উইঘুরদের প্রতি চীনের নিষ্ঠুর ও দমনমূলক আচরণকে ‘মানবতাবিরোধী’ কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিযুক্ত করেছে। গত মাসে এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জিনজিয়াংয়ের পরিস্থিতিকে ‘নরকতুল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। কিছু মানুষের সাক্ষাৎকার নিয়ে বলা হয়েছে, জিনজিয়াংয়ে ব্রেইন ওয়াশ ও নির্যাতনের মাধ্যমে উইঘুর জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক পরিচয় মুছে ফেলার ব্যাপক চেষ্টা চলছে।

তবে ইমরান খান, যিনি সবসময় পশ্চিমের ইসলামফোবিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার, তিনি বলেন, চীন জিনজিয়াংয়ে কোনো অন্যায্য আচরণ করছে না। বৃহস্পতিবার চীনা সংবাদ প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, আমরা চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝতে পেরেছি, তা পশ্চিমের প্রচারিত জিনজিয়াং পরিস্থিতি থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন।

পাকিস্তান তাদের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রতিবেশী দেশ চীনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী এক সম্পর্কে আবদ্ধ। চীন পাকিস্তানে সিপিইসি-র ৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। ইমরান খান চীনে একদলীয় শাসনব্যবস্থারও প্রশংসা করেছেন। দেশটি একচেটিয়াভাবে কমুনিস্ট পার্টির অধীনে শাস্তি হচ্ছে। ইমরান খান বলেছেন, পশ্চিমা মডেলের গণতন্ত্রের চেয়ে চীনা মডেলের একদলীয় শাসনব্যবস্থা তাদের জনগণের জন্য অধিক কল্যাণ বয়ে এনেছে। সূত্র: আলজাজিরা।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত