হাইতিতে বিপাকে বাংলাদেশি একটি পরিবার
অজ্ঞাত আততায়ীদের হাতে প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার পর আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে হাইতির রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্স। দিনভর সংঘাতে বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল, খুলছে না দোকানপাট। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শিশু খাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছে হাইতিতে বসবাসরত একমাত্র বাংলাদেশি পরিবার। সেই পরিবারের সদস্য এইচ আর মানিক এমন পরিস্থিতির কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, হাইতিতে বাংলাদেশের কোন মিশন বা কনস্যুলেট না থাকায় তারা কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না।
এরিকসন বাংলাদেশের সাবেক টেলিকম প্রকৌশলী এইচ আর মানিক জানান, তিনি প্রায় গত ১০ বছর যাবৎ হাইতিতে আছেন। বর্তমানে তিনি হাইতির মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান ডিজি সেলে কর্মরত।
তিনি জানান, হাইতিতে সেনাবাহিনী নেই। খুব ছোট আকারের আধা সামরিক বাহিনী আর পুলিশ আছে। পুলিশ জন নিরাপত্তা এবং আধা সামরিক বাহিনী প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তার জন্য নিয়োজিত থাকে।
তিনি বলেন, ‘ক্যারিবীয় অঞ্চলের দরিদ্র দেশটিতে সবসময়ই লুটপাট, ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কর্মকান্ড চলতে থাকে। আর এখন রাজধানী পোর্ট অব প্রিন্সের পরিস্থিতি এমন যে, প্রকৃতপক্ষে কোনোভাবেই রাজধানীতে আসলে কি ঘটছে, কত মানুষ মরছে, তা জানার সুযোগ নেই।’
সঙ্কটাপন্ন পরিস্থিতিতে হাইতিতে ১৫ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। তাই চলতি সপ্তাহে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা থাকলেও মানিক যেতে পারছেন না।
তিনি বলেন, ‘এখন যুক্তরাষ্ট্র দূতবাসের সহায়তা পাওয়া গেলে সেটি হত বড় সহায়তা। আমরা সেই সহায়তা পাওয়ার জন্য চেষ্টা করব।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, হাইতির কনসুলার সেবা ও মিশন কার্যক্রম পরিচালিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে। দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সহায়তা মিলতে পারে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত