মর্গে মৃত তরুণীদের ধর্ষণ করতো ডোম মুন্না, দুই মামলায় চার্জশিট জমা
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে মৃত নারীদের ধর্ষণ করার অভিযোগে গ্রেপ্তার মুন্না ভগতের বিরুদ্ধে পৃথক দুই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২০ আগস্ট) আদালতের সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গত ৩০ মে শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা পৃথক দুই মামলায় মুন্না ভগতের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সুব্রত কুমার রায়। তবে সে সময়ে চার্জশিট জমা দিলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে আদালতের কার্যক্রম স্থগিত থাকায় কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এর আগে, গত বছরের ২০ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদের আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেন মুন্না ভগত। ১৯ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। গত ১৯ নভেম্বর রাতে তাকে গ্রেফতার করে সিআইডি। এর পরদিনই ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মুন্না ভগত।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ জবানবন্দির পর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সিআইডি ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতার হওয়া মুন্না ভগত সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের মর্গে ডোম জতন কুমার লালের সহযোগী হিসেবে কাজ করতো। দুই-তিন বছর ধরে সে মর্গে থাকা মৃত নারীদের ধর্ষণ করে আসছিল। সম্প্রতি এ রকম একটি অভিযোগ পেয়ে মুন্নার বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে সিআইডি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মুন্নাকে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুন্না মৃত নারীদের ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে।
জানা গেছে, মর্গে রাখা অল্পবয়সী মৃত তরুণীদের লাশ কাটার আগে নিয়মিত ধর্ষণ করা ছিলো বিশ বছর বয়সী মুন্নার নেশা। তার এই জঘন্যতম বিকৃত যৌনতার বিষয়টি ফাঁস হওয়ার পর হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকরা বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছেন। মৃত তরুণীদের যাদের বয়স ১৫ থেকে ২০ বছরের মধ্যে তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট ছিল ডোম মুন্না।
২০১৯ সালের ২৯ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট পর্যন্ত অন্তত পাঁচজন মৃত কিশোরীর মরদেহ ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে সিআইডি। তাদের বয়স যথাক্রমে- ১১, ১৩, ১৪, ১৬ এবং ১৭ বছর। সবগুলোই ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার ঘটনা।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত