বরিশালের ঘটনায় প্রশাসন ক্যাডারের কড়া বিবৃতি নিয়ে যা বললেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব

| আপডেট :  ২৩ আগস্ট ২০২১, ০২:৪১  | প্রকাশিত :  ২৩ আগস্ট ২০২১, ০২:৪১

বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা ও পরবর্তী উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন যে ভাষায় বিবৃতি দিয়েছে তার সঙ্গে বেশিরভাগ সচিব দ্বিমত পোষণ করেছেন। আজ সোমবার (২৩ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠক সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেছেন, ঘটনার পরে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া প্রেস রিলিজের সঙ্গে একমত নন। অ্যাসোসিয়েশনের প্রেস রিলিজে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে সেটা ঠিক হয়নি। এটি ভুল হয়েছে বলে তারাও (সংগঠনের নেতারা) স্বীকার করে নিয়েছেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, কালকে (রোববার) একটা মিটিং ছিল, সেখানে আমি যখন কথা বলেছি, সচিব যারা ছিলেন বা অন্যান্য কর্মকর্তারা, তারা সবাই এই বিবৃতির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন।

তিনি বলেন, এই ঘটনার পর আমরা নিজেরাই (প্রশাসনের কর্মকর্তা) কয়েকজন বসেছিলাম। নিজেদের মধ্যে সেখানেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই আলাপে উঠে এসেছে যে, প্রেস রিলিজের ভাষা ঠিক হয়নি। পরে তাদের (সংগঠনের নেতাদের) জানানো হলে তারাও সেটি স্বীকার করেছেন তারা। তিনি জানান, বিষয়টি কেবিনেট মিটিংয়ের আলোচনাতেও উঠেছিল। তবে এটি নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে খতিয়ে দেখে সমাধান করতে বলা হয়েছে।

এর আগে ১৮ আগস্ট রাত সাড়ে ৯টার দিকে ১০ থেকে ১৫ জনের একটি দল বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা চালায়। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে ছাত্রলীগ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের। এ ঘটনায় পরেরদিন বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। একইসঙ্গে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাকে গ্রেফতারের দাবি জানায় সংগঠনটি।

এরপর মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তারের দাবি জানায় বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিএএসএ)। বৃহস্পতিবার কার্যনির্বাহী পরিষদের এক জরুরি সভা শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবির কথা জানায় তারা।

অপরদিকে রোববার ইউএনও মুনিবুর রহমান ও কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুম বিল্লাহর আদালতে দুটি মামলার আবেদন করা হয়েছে। মামলা দুটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এরপরই রোববার রাতে উভয়পক্ষ বৈঠক করে সমঝোতার সিদ্ধান্তে আসে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত