পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে বরগুনার পুলিশ সুপারের তদন্ত

| আপডেট :  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩৮  | প্রকাশিত :  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৪:৩৮

ইমরান হোসেন,পটুয়াখালী থেকে: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে লাশ হস্তন্তরে ঘুস দাবীর ঘটনায় ফের তদন্তে বরগুনার পুলিশ সুপার, অপমৃত্যুর লাশ হস্তান্তরে ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবি ও নিহতের স্বজনদের মারধরসহ আটকের ঘটনায় মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মহিববুল্লাহ ও এস আই সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের একের পর এক তদন্ত শুরু হয়েছে।

গত (১৩ সেপ্টেম্বর) সোমবার বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানে বেলা ১১টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও নিহতের বাড়ি গিয়ে স্বজনদের লিখিত বক্তব্য গ্রহণ করেন বরগুনা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির মল্লিক। এসময়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মেহেদী হাসান ও বেতাগী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু উপস্থিত ছিলেন।

এর আগেরও গত সোমবার (সংবাদ প্রকাশের দিন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল, পটুয়াখালী) মো. শামিম হোসেন একদফা অনুসন্ধান চালান।

এলাকার লোকজনের উপস্থিতিতে আলাদা আলাদা লিখিত বক্তব্যে স্বজনরা পুলিশ সুপারকে জানান, ওইদিন শুধু লাশ হস্তান্তরে ২০ হাজার টাকা ঘুস দাবিই করেননি ওসি, তার নেতৃত্বে মির্জাগঞ্জ থানার (এস আই) সাইফুল ইসলাম নিহতের দুই স্ত্রীকে মারধর ও অশোভনীয় আচারণ করেন। এছাড়াও ৩ জন স্বজনদের আটক করে অমানবিক অত্যাচার করেন। এ সময়ে নিহতের ছোট স্ত্রীর পরিহিত কাপড় ও ছিড়ে যায় ও চোখে আঘাত পায়।

পুলিশ সুপারের সামনেই ছিড়ে যাওয়া কাপড় ও চেখের রক্তাক্ত অংশ দেখান নিহত আবুল বাশারের স্ত্রী নাজমা বেগম। এছাড়াও সকল ঘটনার লিখিত বর্ণনা দেন নিহত আবুল বাশারের শ্বশুর, ছোট দুই ভাই একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী এবং দুই স্ত্রী নাজমা ও হাওয়া বেগম। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের অনুসন্ধানের ব্যাপারে জানতে চাইলে বরগুনা পুলিশ সুপার।

বরগুনা পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গির মল্লিক বলেন, নিহত আবুল বাশারের মৃত্যু গাছ থেকে পড়ে গিয়েই হয়েছে এটি স্পষ্ট। অভিযোগে যে সত্যতা পাওয়া গেছে তাই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য বরগুনার বেতাগীতে আমড়া পাড়তে গিয়ে গাছ থেকে পড়ে আবুল বাশার গুরুতর আহত হন। নিকটস্থ মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে সংশ্লিষ্ট থানায় জানান। নিহতের স্বজনদের থানায় ডেকে নিয়ে লাশ হস্তান্তরে ঘুস দাবি করেন মির্জাগঞ্জ থানার ওসি মহিববুল্লাহ। স্বজনরা ঘুস দিতে না চাইলে ওই থানার এসআই সাইফুল ইসলাম ময়নাতদন্তে পাঠাতে চাইলে স্বজনদের সাথে লাশ নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বজনদেও মারধরসহ ৩ জনকে আটকও করেন। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে ওইদিন সন্ধ্যায় মারা যাওয়া ব্যাক্তির লাশ রাত আড়াইটায় স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত