নির্বিচারে মানুষ মারছে ইহুদিরা, ৩৯ শিশুসহ ১৪০ জন নিহত
নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর গত ছয়দিন ধরে নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। বেসামরিক স্থাপনায় এই খুনী ইহুদিদের এই হামলায় রক্তাক্ত হচ্ছে ফিলিস্তন, ঘরছাড়া হচ্ছে মানুষজন।
গত সোমবার থেকে ইসরায়েলের এই হত্যাকাণ্ডে এখন পর্যন্ত মারা গেছে ৩৯ শিশুসহ ১৪০ জন ফিলিস্তিনি নাগরিক। শনিবার এ খবর দিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরা। ইসরায়েলের বিমান হামলায় রীতিমতো ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে চলেছে গাজা। একটার পর একটা ভবন ধসে পড়ছে ইহুদিদের মিসাইলের আঘাতে।
ইসরায়েলি বাহিনী রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়ে নিজেদের ভূমি রক্ষায় বিক্ষোভরত ফিলিস্তিনিদের রক্ত ঝরাচ্ছে। এ ছাড়া গাজাতেও মুহুর্মূহু হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। আকাশ, মাটি ও পানি তিন পথেই ফিলিস্তিনকে টার্গেট করছে খুনী ইহুদিরা।
ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে সংঘর্ষের শুরু গত সপ্তাহে। জেরুজালেমের আল-আকসায় পবিত্র জুমাতুল বিদা আদায়কে কেন্দ্র এই সংঘর্ষের সূত্রপাত। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় সংঘর্ষের ঘটনা। বড় ধরনের সংঘর্ষের সূচনা হয় গত সোমবার পূর্ব জেরুজালেমে। সেই সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে।
ইসরায়েল তার হামলার বড় লক্ষ্য হিসেবে নির্ধারণ করেছে ফিলিস্তিনের পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা, নিরাপত্তা বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনীর ভবন। এমনকি গাজায় একটি শরণার্থীশিবিরেও বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এসব হামলা থেকে বাঁচতে গাজার উত্তরাঞ্চলের জাতিসংঘের পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিচ্ছে সাধারণ মানুষ। জাতিসংঘ বলেছে, ইসরায়েলের হামলা থেকে বাঁচতে প্রায় ১০ হাজার ফিলিস্তিনি বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনে হামলা বন্ধে বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংগঠন আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এমন আহ্বান জানিয়েছেন। তবে খুনী ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা করা দরকার, তা–ই করা হবে। সূত্র : আলজাজিরা
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত