অনেক দিন পর বেগম জিয়ার মুখে হাসি দেখেছি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবস্থা উন্নতির দিকে বলে জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এখন আর শ্বাসকষ্ট নেই, অক্সিজেন স্যাচুরেশন ভালো। অনেক দিন পর বেগম জিয়ার মুখে হাসি দেখেছি। শুক্রবার (২১ মে ) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক সভায় এ কথা বলেন তিনি।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ প্রমুখ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমি গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে ম্যাডামকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। দেখে আমার খুব ভালো লেগেছে। অনেকদিন পর তার মুখে হাসি দেখেছি, যেটা এই কয়দিন ছিল না। একেবারেই ছিল না।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে মির্জা ফখরুল জানান, কোভিড পরবর্তী জটিলতা এখনো আছে বলে জানান ফখরুল। এটাই উদ্বেগের বিষয়। এখনও হার্ট এবং কিডনিতে কিছু সমস্যা আছে। এ অবস্থায় তার যে উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন তা দেশে নেই। তাকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া জরুরি ছিল, কিন্তু সরকার সেই অনুমতি দেয়নি।
তিনি আরো বলেন, সবাই জানেন, বেগম জিয়া করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পোস্ট কোভিডের অনেকগুলো জটিলতা দেখা দেয়, শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। আমি তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছে অত্যন্ত কৃতজ্ঞ, যারা সম্পূর্ণ আন্তরিকতা নিয়ে তার চিকিৎসা করছেন। প্রতিদিন তার মেডিক্যাল বোর্ড করছেন, প্রতিদিন তার চিকিৎসার মনিটর করছেন।
সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রোজিনাকে ধন্যবাদ। কারণ তিনি সাহস নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের দুর্নীতি তুলে ধরেছেন। এ জন্যই রোজিনার প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরকারের ক্ষোভ।’
রোজিনা ইসলামকে জামিন না দেয়ার বিষয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে জামিন দিতে দেরি করা হচ্ছে। এই বিচার বিভাগের ওপর আস্থা রাখতে হবে? আওয়ামী লীগ সরকারের কালচারটাই হলো শুধু মামলা করো।’
অন্যায়কে অন্যায় বলতে হবে মন্তব্য করে তিনি আরো বলেন, পুলিশ হেফাজতে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানোর মাধ্যমে মানুষকে মেরে ফেলা হচ্ছে। সাংবাদিকদের মধ্যে বিভক্তির কারণে দাবি আদায়ের আন্দোলন জোরদার হয় না বলেও মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব।
প্রসঙ্গত, ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর দুটি পরীক্ষায়ও তিনি করোনা পজিটিভ হন। চতুর্থ পরীক্ষায় তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। প্রায় একমাস ধরে তিনি রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাকে বিদেশ নিয়ে চিকিৎসা দিতে সরকারের কাছে আবেদন করেছিল পরিবার। সরকার সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি। বিএনপি চেয়ারপারসন কোভিড পরবর্তী নানা জটিলতায় ভুগছেন বলে তার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত