সুযোগ পেলেই হস্তমৈথুন, খারাপ না ভালো?
হস্তমৈথুন বা স্বমোহন শব্দটা শুনলেই লোকে ছি ছি করে ওঠেন। যেন পাপের অপর নামই হস্তমৈথুন। তবে জানেন কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পুরুষ ও নারীরা হস্তমৈথুন না করলেই বিপদ। এতে শরীর ও মনের ক্ষতি হতে পারে। তবে সে কথা এখন থাক। বরং হস্তমৈথুন নিয়ে চলে আসা দীর্ঘদিনের ভুল ধারণাকে ভাঙার জন্যই এই প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সংবাদ প্রতিদিন।
অনেকে মনে করেন, বিয়ের আগে যদিও বা হস্তমৈথুন করা যায়, বিয়ের পরে একদমই না। কারণ, এতে নাকি স্বামী বা স্ত্রীকে অপমান করা হয়। তাদের বিশ্বাস ভঙ্গ করা হয়!
মনোবিদরা বলছেন, বিয়ে, সম্পর্ক এগুলোর সঙ্গে হস্তমৈথুনের কোনো যোগাযোগ নেই। কারণ, হস্তমৈথুন একেবারেই শারীরিক এক প্রক্রিয়া। যার সঙ্গে প্রেম, ভালোবাসার কোনো সম্পর্ক নেই। বিয়ের পর হস্তমৈথুন করলে কিন্তু সঙ্গী বা সঙ্গিনীর সঙ্গে যৌন জীবন খারাপ হয়ে যেতে পারে এমন ধারণা ভুল। বরং হস্তমৈথুন আপনার যৌন জীবনকে অনেক বেশি অ্যাক্টিভ করে তুলবে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত হস্তমৈথুন করা নারীদের পক্ষে স্বাস্থ্যকর। তবে নারীদের হস্তমৈথুন নিয়ে আমাদের দেশে যে ধরনের ট্যাবু রয়েছে তা থেকে আগে বের হওয়া প্রয়োজন।
অনেক দম্পতিই আছে যারা যৌন মিলনের সময় সম্ভোগে লিপ্ত না হয়ে শুধু হস্তমৈথুনে আনন্দ খুঁজে পান। অনেকে হস্তমৈথুনেই খুঁজে পান চরম যৌনসুখ।
অনেক দেশেই স্কুলে সেক্স এডুকেশনে হস্তমৈথুন নিয়ে পড়াশুনোও করানো হয়। যাতে এই নিয়ে কোনো ভুল ধারণা তৈরি না হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হস্তমৈথুনের রয়েছে পাঁচ প্রকার উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কী সেগুলো-
১) অনিদ্রা দূর হয় : বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, হস্তমৈথুন করলে খুব সুন্দর ঘুম আসে। এর ফলে শরীরে যে শক্তি ক্ষয় হয় বা ক্লান্তিভাব আসে তাতেই চোখ যেন জুড়ে আসে। ফলে যে সকল ব্যক্তিরা অনিদ্রায় ভুগছেন তাদের পক্ষে এটি ভালো।
২) রক্ত চলাচল ভালো হয় : হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের নিম্নাংশে রক্ত চলাচল খুবই ভালো হয়। এর ফলে পেশীগুলি যথেষ্ট ভালোভাবে সঞ্চালিত হতে পারে। এটি শরীরের পক্ষে খুবই ভালো।
৩) শীঘ্রপতন দূর হয় : গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সকল ব্যক্তিরা একেবারে হস্তমৈথুন করে না তাদের থেকে সেই সকল ব্যক্তিরা অনেকক্ষণ টিকে থাকতে পারে। সুতরাং, শুধুমাত্র অবিবাহিত না বিবাহিতরাও হস্তমৈথুন করতে পারেন যার ফলে শীঘ্র পতনের মতো সমস্যা দূর হয়ে যায়।
৪) মেজাজের উন্নতি ঘটে : অবসাদে ভুগছেন? গবেষণায় দেখা গেছে যে অবসাদগ্রস্ত মানুষদের পক্ষে হস্তমৈথুন খুবই উপকারে আসে। বর্তমানে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে মানুষ খুব সহজেই অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন কিংবা মন মেজাজ ঘনঘন খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এমন সময় এই জৈবিক প্রক্রিয়া চালালে মেজাজ ফুরফুরে হয়। এর কারণ হলো এন্ডোরফিন্স নামক এক প্রকার হরমোন ক্ষরিত হয়।
৫) স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি : হার্ভার্ড মেডিক্যাল স্কুলের গবেষণা অনুযায়ী, ৫০ বছর বয়সের পর নিয়মিত হস্তমৈথুন করলে প্রস্টেট ক্যান্সারের আশঙ্কা কমে। অল্প বয়সে হস্তমৈথুন করলে স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ভুক্তভোগী মাত্রই জানে, স্বপ্নদোষ একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি।
৬) রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধি : হস্তমৈথুন করলে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়ে। হস্তমৈথুনের সময় টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এর ফলে শরীরের হাড় ও মাংসপেশি সবল হয়।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত