‘ইয়াসের প্রভাবে পটুয়াখালীর ১৯ গ্রাম প্লাবিত
ইমরান হোসেন, পটুয়াখালী থেকে: ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’ এর প্রভাবে পটুয়াখালীর নদ-নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে প্রায় ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সকাল থেকে শুরু হওয়া জোয়ারে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে ও ভাঙ্গা ভেরি বাদ দিয়ে পানি প্রবেশ করে পটুয়াখালীর অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বিচ্ছিন্ন দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার সদর ইউনিয়ানের চরকাসেম এলাকা , চরমোন্তাজ ইউনিয়নের মিটার বাজার এলাকা, ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ানের কাউখালি এলাকা, বড়বাইসদিয়া ইউনিয়ানের হালিম চার এলাকা, চালিতাবুনিয়া ইউনিয়ানর বিবিরহাওলা, গরুভাঙ্গা, মরাজাঙ্গি, গোলবুনিয়া, চিনাবুনিয়া ও চারলতা এলাকা পানিতে পুরাপুরি প্লাবিত হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার লালুয়া ইউনিয়নে ভাঙ্গা ভেরি বাদ দিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে নয়টি গ্রাম পুরোপুরি প্লাবিত হয়েছে।এতে দুই উপজেলায় প্রায় ১২ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। এছাড়া দশমিনা, মির্জাগঞ্জ ও বাউফল উপজেলার বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে পটুয়াখালী পৌর শহরের বেশ কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। মানুষের চলাচলে অসুবিধা হাচ্ছে।
চালিতাবুনিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মুঃ জাহিদুর রহমান বলেন, আমার ইউনিয়ানে অনেক জায়গায়ই প্লাবিত হয়েছে। জোয়ারের পানি এতটা বৃদ্ধি পেয়েছে যে মানুষের ঘরবাড়িসহ সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে গেছে। এরকম পানি বৃদ্ধি পাবে আমরা বুঝতে পারিনি। আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। তাছাড়া আবহাওয়া অফিস এরকম কোন সংকেত পাইনি আমরা । বিগত বন্যা গুলোর সময়ও এতো পানি হয়নি। আমার ইউনিয়নের পূর্ব পাসে বা আগুনমুখা নদীর প্রান্তে বেড়িবাঁধ নেই। আমরা সংকেত পেলেই মালামাল নিয়ে সাইক্লোন সেন্টারে চলে যাই। খবরের মাধ্যমে জানতে পারছি ‘ইয়াস’ পটুয়াখালীর দিকে আসবেনা। আর আাসলেও মঙ্গলবার বিকালে উপকূলে আঘাত হানতে পারে এমন তথ্যের উপরে ভিত্তি করে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না, তাই আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে।
রাঙ্গাবালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাশফাকুর রহমান বলেন, আমরা পূর্বের মতো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে শতভাগ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে নিরাপদে আনবার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। আমাদের দুর্গম চর এলাকায় অবস্থিত জনসাধারণদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা
পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ হালিম সাহেলী বলেন, সকাল সাড়ে ১১ টায় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ( বিপদসীমার) ২৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে পানি প্লাবিত হয়েছে। কলাপাড়ার বালিয়াতলি ও পায়রা বন্দর এলাকা ও রাঙ্গাবালীর বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আমরা খোঁজখবর রাখছি। কিছু জায়গায় আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত