লিবিয়ায় দুবৃত্তের হামলায় প্রাণ গেল চকরিয়ার বাবুলের
লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপলীতে কক্সবাজারের চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ঈদমণি পশ্চিম পাড়ার ইব্রাহিম খলিল বাবুল (৪৪) খুন হয়েছেন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে
জানানো হয়েছে- বাবুল সেখানে টাইলস্ মিস্ত্রী হিসেবে দীর্ঘ সাড়ে ৮ বছর ধরে কাজ করছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে বাসায় ঢুকে তাকে গলা টিপে ও পিটিয়ে হত্যা করে ডাকাত-সন্ত্রাসীরা। এ সময় বাসা থেকে টাকা, মূল্যবান জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে সেখানকার পুলিশ নিহতের মরদেহ এবং পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে। বর্তমানে বাবুলের লাশ সেখানকার হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে পরিবার জানিয়েছে।
এই অবস্থায় লিবিয়া থেকে বাবুলের লাশটি দেশে ফেরত আনতে সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন পরিবার।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাসায় ঢুকে বাবুলকে গলা টিপে ও পিটিয়ে হত্যা করার খবরটি পান বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে। এর পর আরো যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন ঘটনাটি সঠিক। এই অবস্থায় পরিবার সদস্যদের মাঝে কান্নার রোল পড়েছে।
পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বাসায় ঢুকে বাবুলকে গলা টিপে ও পিটিয়ে হত্যা করার খবরটি পান বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টার দিকে। এর পর আরো যোগাযোগ করে নিশ্চিত হন ঘটনাটি সঠিক। এই অবস্থায় পরিবার সদস্যদের মাঝে কান্নার রোল পড়েছে।
শুক্রবার (১১ মার্চ) দুপুরে বাবুলের গ্রামের বাড়িতে গেলে দেখা যায়, বাড়িতে থাকা স্ত্রী বুলবুল আক্তার, তিন কন্যার মধ্যে কলেজ পড়ুয়া উম্মে সালমা মিশু, উম্মে কুলসুম মিলি ও সাত বছরের শিশুকন্যা উম্মে তাওরাত উহি, বাবুলের বৃদ্ধ বাবা মাষ্টার হাকিম আলী, বৃদ্ধা মা রাবেয়া বেগম, বোন আরজু মনি, ভাই আতিকুর রহমানসহ পরিবার সদস্যদের মাঝে কান্নার রোল পড়েছে। বাবুল খুন হওয়ার খবরে বিভিন্ন স্থান থেকে বাড়িতে আসছেন নিকটাত্মীয়রাও। এ সময় পরিবার সদস্যদের সান্তনা দিয়েও কান্না থামাতে পারছিলেন না স্বজনেরা।
নিহত বাবুলের বৃদ্ধা মা রাবেয়া বেগম, স্ত্রী বুলবুল আক্তারসহ পরিবারের সদস্যরা সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন, লিবিয়া থেকে বাবুলের লাশটি দেশে ফেরত আনার। এজন্য প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।
চকরিয়ার পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফারহানা আফরিন মুন্না জানান, তাঁর ইউনিয়নের বাসিন্দা ইব্রাহিম খলিল বাবুলের লাশটি দেশে ফেরত আনতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ওসিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চকরিয়া ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, ‘লাশ ফেরত আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত