সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল

| আপডেট :  ২৭ মে ২০২১, ১১:৫৪  | প্রকাশিত :  ২৭ মে ২০২১, ১১:৫৪

ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের দেয়া প্রস্তাবই মানতে হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে এক বৈঠকে নতুন করে সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয়। এ নিয়ে এক মাসের মধ্যে দুইবার সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো হলো।

পরে তেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আসলে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলে ১২ টাকা বাড়িয়ে ১৫৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কিভাবে লিটারে ১২ টাকা দাম বাড়ল?

সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছে, গত ১৯ মে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশক বিষয়ক জাতীয় কমিটির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীরা নিজেরাই তখন প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে পাঁচ টাকা করে বাড়িয়ে দেন। পরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকে লিটারে পাঁচ টাকার পরিবর্তে দুই টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ হয় ১৪১ টাকা।

এ হিসেবে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ৯ টাকা বাড়ানো হলে দাম হবে ১৫০ টাকা। কিভাবে প্রতি লিটার সয়াবিনের খুচরা মূল্য ১৫৩ টাকা হয়? এ প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।

তারা আরো বলেছেন, কয়েকদিন আগে সংগঠনটি প্রতি লিটার সয়াবিন তেলে ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে। আজকের বৈঠকে কার্যত ব্যবসায়ীদের দেয়া প্রস্তাবটিই মানতে বাধ্য হলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটি জানায়, এখন থেকে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৫৩ টাকা ও পাঁচ লিটারের বোতল বিক্রি হবে ৭২৮ টাকায়। এ ছাড়া খোলা সয়াবিন তেল লিটার প্রতি ১২৯ টাকা ও পাম সুপার তেল ১১২ টাকায় বিক্রি করা হবে। তবে পাম অয়েলের দাম লিটারে ১ টাকা কমানো হয়েছে।

সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো ভোজ্যতেলের দর বাড়ানোর প্রস্তাবে সংগঠনটি বলেছে, দেশে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ভোজ্য তেল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। আর আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্য তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু সে হিসেবে দেশে সয়াবিন তেলের দাম তুলনামূলক কম বেড়েছে।

গত মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ২০২০ সালের পর থেকে ভোজ্য তেলের আন্তর্জাতিক বাজারে অস্বাভাবিক ঊর্ধ্বগতি দেখা যাচ্ছে। যেহেতু, ভোজ্য তেল একটি আমদানি নির্ভর পণ্য, তাই ভোজ্য তেলের বাজার দর নির্ভর করে আন্তর্জাতিক বাজার দরের উঠানামার ওপর। সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বলে জানানো হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র বলেছে, বৈঠকে ব্যবসায়ীরা বলেছেন, আগামী কোরবানির ঈদের আগে তারা আর ভোজ্যতেলের দাম বাড়াবে না। এই শর্তে এবার দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগে গত ১৫ মার্চ কমিটি এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল ৬৬০ টাকা, খোলা সয়াবিন ১১৭ টাকা ও পামতেল ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। আর ১৭ ফেব্রুয়ারি প্রথমবারের মতো ভোজ্য তেলের দর নির্ধারণ করা হয়ে। সে সময় প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১১৫ টাকা, বোতলজাত সয়াবিনের লিটার ১৩৫ টাকা ও পামঅয়েল ১০৪ টাকা বিক্রির জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত