ফখরুলের বক্তব্যের নিন্দা জানালেন কাদের
বিএনপির যেকোনও ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে আওয়ামী লীগ প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যেকোনও উপায়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক চেতনাকে সমুন্নত রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ এবং যেকোনো ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত।
শুক্রবার (৮ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান ওবায়দুল কাদের। গণমাধ্যমে প্রচারিত ও প্রকাশিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এ বিবৃতি দেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে কাউকে আনা না আনা সরকারের দায়িত্ব না। আইন অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত। তবে আমরা প্রত্যাশা করি, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী সব রাজনীতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। বিএনপি ষড়যন্ত্রের পথ পরিহার করে জনকল্যাণের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়োজিত করবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে- জনগণই সব ক্ষমতার উৎস। আর এদেশের মানুষের হৃদয়ের আবেগ ও অবিভাজিত বোধের এক অপরাজেয় শক্তির নাম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, যা ঐতিহাসিকভাবে প্রমাণিত।
ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আওয়ামী লীগ সরকারের কারও কাছে ধর্না দেয়ার প্রয়োজন হয় না জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ জানে, রাজনীতি করতে হলে জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন প্রয়োজন। কিন্তু ক্ষমতালিপ্সু বিএনপি বরাবরই হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানুষের কল্যাণের জন্য কিছু করেনি। বিএনপির এ অপরাজনীতির কারণে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি বারবার বাধাগ্রস্ত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র সবার সম্মিলিত প্রয়াসের ফল। কিন্তু গণতন্ত্রকে নসাৎ করে প্রতিষ্ঠিত বিএনপি মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপরাজনীতি শুরু করে। মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় ঐক্যের বিপরীতে বিভেদের অপরাজনীতির প্রচলন করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বলতে চাই- বিদেশে আওয়ামী লীগ বা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার কোনও প্রভু নেই। সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত এ পথেই আওয়ামী লীগ সরকার পররাষ্ট্র নীতি পরিচালনা করে। যেখানে বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থই মূল বিবেচ্য বিষয়।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত