ইসলামী আন্দোলনের সেমিনারে গয়েশ্বর রায়সহ বিরোধী নেতারা
ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, দুই বাংলার মাঝে ইসলামই একমাত্র কার্যকর সীমানা, যার বহিঃপ্রকাশ হলো ইসলাম বিধৌত সংস্কৃতি। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত সেমিনারে অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ বিরোধী বেশ কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতারা।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ইসলামী আন্দোলনের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
সভাপতির লিখিত বক্তব্যে রেজাউল করিম বলেন, ‘সংস্কৃতি হলো জাতির দর্পণ। জাতির গৌরব ও ঐতিহ্যের ধারক। আমাদের এখানকার মানুষ হাজার বছর ধরে মুসলমান। ফলে এখানকার সংস্কৃতিতে ইসলামের ছাপ থাকাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই সরকার ইতিহাসের সেই বাস্তবতার মাথা খেয়ে পশ্চিম বাংলার হিন্দু জমিদারির আশ্রয়ে নির্মিত শান্তি নিকেতনি সংস্কৃতিকেই বাংলাদেশের একমাত্র সংস্কৃতি হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা এর পেছনে অখণ্ড ভারতের দিবাস্বপ্নের ভূমিকা দেখি।’
তিনি দাবি করেন, ‘দুই বাংলার মাঝে ইসলামই একমাত্র কার্যকর সীমানা, যার বহিঃপ্রকাশ হলো ইসলাম বিধৌত সংস্কৃতি। এই সরকার হয়তো সেই সীমানা তুলে দিয়ে অখণ্ড ভারতের অশুভ স্বপ্নের পেছনে হাঁটছে।’
‘জাতীয় বহুমুখী সংকট উদঘাটন ও নিরসনকল্পে কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘দেশের গণতন্ত্র আজ নির্বাসিত না, সমাহিত। দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যারা সরকারের উচ্ছিষ্টভোগী তারা আমাদের সঙ্গে আসবে না। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সম্মিলিতভাবে আমাদের মনের ঐক্য হয়ে গেছে। কিন্তু জনগণের সামনে আমরা ঐক্যটা দৃশ্যমান করতে পারছি না। আমাদের আহ্বানে জনগণ সাড়াও দিচ্ছে। সরকারকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ দেখি না।’
জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আজকে শুধু আওয়ামী লীগ নয়, আমাদের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রের যে মেকানিজম তার বিরুদ্ধেও আমরা লড়াই করছি। মিয়ানমার সীমান্তেও লড়াই চলছে। সরকার আজকে একইসঙ্গে চীন এবং ভারতের ফ্লার্টিং করছে। তাই বাংলাদেশের এই অবস্থা।’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘দেশের বহুমুখী সংকটের কেন্দ্রে রাজনৈতিক সংকট। আর রাজনৈতিক সংকটের কেন্দ্রে নির্বাচন নিয়ে সংকট।’
সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন— গফফোরাম সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী, শিক্ষাবিদ প্রফেসর ইয়াকুব আলী, ইসলামী আন্দোলনের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. নেয়ামুল বশীর, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি মিয়া মশিউজ্জামান, এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মঞ্জু, জামায়াতের কেন্দ্রীয় নেতা, মসজিদ মিশনের সেক্রেটারি খলিলুর রহমান মাদানী, এনডিএম চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত