সর্বাত্মক লকডাউন আরও বাড়ানোর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

| আপডেট :  ০৩ জুলাই ২০২১, ০৬:২২  | প্রকাশিত :  ০৩ জুলাই ২০২১, ০৬:২২

মহামারি করোনা ভাইরাসের মৃত্যু ও সংক্রামন রোধে সারাদেশে চলছে সাতদিনের সর্বাত্মক লকডাউন। যদিও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ১৪ দিনের লকডাউনের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের মতে, লকডাউনের সুফল ২/১ দিনের মধ্যে পাওয়া যাবে না। এজন্য ভাইরাসের সুপ্তিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। বিজ্ঞানীদের মতে, শহর-গ্রামে মাস্ক পরা নিশ্চিত করা গেলে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ নিতে হতো না। ঘরবন্দী হওয়া মানুষের স্বভাবে নেই। যানবাহন, ব্যবসা-বাণিজ্য সব বন্ধ থাকুক এটিও কেউ চায় না। কিন্তু গত দেড় বছরে এই অজনপ্রিয় সিদ্ধান্ত দফায় দফায় বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সরকারকে নিতে হচ্ছে।

ভ্যাকসিনের অপ্রতুলতা আছে। সেই সাথে আছে ভারতীয় ডেলটা ভ্যারিয়েন্টের অতি সংক্রমণশীলতা। এ অবস্থায় লকডাউন দেয়া ছাড়া খুব বেশি বিকল্প নেই সরকারের হাতে। সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের লকডাউন স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষার মাশুলও বটে। অন্তত মাস্ক নিশ্চিত করা গেলে লকডাউনের মতো কঠোর পদক্ষেপ এড়ানো যেত।

লকডাউনে সব কঠোরতা আর কষ্টের অর্জন ধুলিস্যাৎ হবার আশঙ্কাও আছে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। সঠিক পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে ধীরে ধীরে বিধিনিষেধ শিথিল করার পরামর্শ দিলেন তারা।

করোনা কোন বিশেষ জনগোষ্ঠীর জন্য নয় বরং সবাই সমান ঝুঁকির। এজন্যই যাদের ঘরে থাকার বাস্তবতা নেই তাদের সহায়তার দায় বিত্তবানদের ওপরই বর্তায় বলে মনে করেন আইডিসিআরের ড. মুশতাক হোসেন। বাংলাদেশে ২০২০ সালে করোনা প্রথম ঢেউয়ে ২৬ শে মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষিত হয়। সেটি সাত দফা বেড়ে ৩০ মে পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।

 

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত