বাড়ি ফিরতে বাস সার্ভিস চায় জবি শিক্ষার্থীরা

| আপডেট :  ০৬ জুলাই ২০২১, ০৭:০৬  | প্রকাশিত :  ০৬ জুলাই ২০২১, ০৭:০৬

ইমরান হুসাইন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে: চলমান বিধি-নিষেধে ঢাকায় আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনে বিভাগীয় শহরে পৌঁছে দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার ( ৬ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক,ট্রেজারার অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ ও প্রক্টর ড. মোস্তফা কামালের কাছে স্মারকলিপি দেন শিক্ষার্থীরা।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেন, করোনা মহামারীর জন্য লকডাউন আগামী ১৪ জুলাই পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এমনকি এ লকডাউন ঈদ পর্যন্ত থাকার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। বলা বাহুল্য, উক্ত লকডাউনে ঢাকা থেকে অন্যান্য জেলায় যাওয়ার জন্য কোনো দূরপাল্লার বাস যোগাযোগের ব্যবস্থা নেই। এমতাবস্থায়,ঢাকায় আটকে থাকা আমাদের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মেসে-ঢাকা থাকাটা খুবই কষ্ট-দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, আমাদের জগন্নাথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো আবাসিক হল না থাকায় ঈদের আগে আমাদের ভ্যাকসিন পাবারও সম্ভাবনা দেখছি না। এতে, করে দিনকে দিন করোনার মধ্যে ঢাকায় অবস্থান করাটা আমাদের জন্য হুমকিস্বরূপ হয়ে পড়েছে। তাই এমতাবস্থায়, আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য মহোদয় ও প্রশাসনের কাছে এই লকডাউন মহামারীতে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনযোগে ঢাকায় আটকে থাকা শিক্ষার্থীদের দেশের ৮টি বিভাগীয় শহরে নিরাপদে পৌঁছে দেয়ার জন্য মানবিক অনুরোধ করছি।

শিক্ষার্থীদের এ স্মারকলিপির প্রেক্ষিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইমদাদুল হক বলেন, শিক্ষার্থীরা যদি বাসের জন্য দাবি করে বাস দেয়া যাবে। তারা পরিবারের সাথে ঈদ করবে এটা আনন্দের। কিন্তু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো চলে ঢাকা ও এর আশপাশের এলাকায়। চালকরা হাইওয়েতে দীর্ঘক্ষণ গাড়ি চালাতেও অভ্যস্ত নয়। বাসে কোনো দুর্ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে। একটা বাসে ৪০-৫০ জন শিক্ষার্থী থাকবে। হাইওয়েতে অনভিজ্ঞ চালকদের হাতে আমরা তাদের তুলে দিতে পারি না। এছাড়াও সীমান্ত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে করোনার সংক্রমন খুবই বেশি। সেখানকার হাসপাতালগুলোতে রোগী ধারণের ঠাঁই নেই।

তিনি আরও বলেন, বাড়িতে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী করোনা আক্রান্ত হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না। ঢাকায় থাকলে আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবো। এছাড়া তাদের বাড়িতে পরিবারের বৃদ্ধ সদস্যরা রয়েছেন। তাদের কথা চিন্তা করে হলেও এই ঈদে ঢাকায় থাকা উচিত। করোনা সংক্রমণ রোধে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আরও সচেতন হতে হবে। এরপরও যদি তারা বাস চায়, আমরা করোনা সংক্রমনের হার কম ওই এলাকাগুলোতে বাস সার্ভিস দেয়ার ব্যাপারে আলোচনা করবো।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত