জরুরি সেবার কর্মীদের মেলে না ছুটির হিসাব
মহামারি করোনার শুরু থেকেই কঠিন সময় পার করছেন জরুরি সেবায় কর্মরতরা। সংক্রমণ শুরুর পর থেকেই রয়েছে কর্মস্থল ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা। ফলে পরিবারের সাথে ঈদ উদযাপনের সুযোগ হচ্ছেনা অনেকেরই। নিজ নিজ জায়গা থেকে মানব সেবা করেই ঈদের আনন্দ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেন তারা। জরুরি সেবায় নিয়োজিত ফায়ার সার্ভিসের এই ফ্রন্টলাইনারদের মেলে না ছুটির হিসেব, ঈদেও দায়িত্ব পালনে থাকতে হয় প্রস্তুত। শুধু অগ্নি নির্বাপনই নয়, ঈদের ছুটিতে হুড়োহুড়িতে নদীতে পড়ে যাওয়া লঞ্চযাত্রীদের উদ্ধারেও তারা এগিয়ে আসেন। আর করোনায় কর্মস্থল ত্যাগে রয়েছে নির্দেশনা, তাই কর্মস্থলেই কোরবানি দিচ্ছেন তারা।
ফায়ার সার্ভিস উপসহকারী পরিচালক বজলুর রশীদ জানান, আমাদের কাজটাই এমন যে সব সময় মানুষের সেবা করা। আর এই মানুষের সেবা করতে গিয়ে আমাদের ঈদ তাই কর্মস্থলে।
মহামারীতে সবচেয়ে বেশি নাজুক পরিস্থিতিতে থেকেও দায়িত্ব পালন থেকে পিছু হটেননি চিকিৎসকরা। সেবা ও সম্প্রীতির অনন্য উদাহরণ যেন রাজধানীর হলি ফ্যামিলি হাসপাতাল। তাইতো সহকর্মীদের ঈদ উৎসব পালন করার সুযোগ করে দিতে এ দিন সেবা দিচ্ছেন অন্য চিকিৎসকরা।
হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের চিকিৎসক মানবেন্দ্র রায় বলেন, যখন যে ধর্মের উৎসব আসে তখন চেষ্ঠা করা হয় অন্যদের সুযোগ করে দেয়ার। আর সেভাবেই কাজ করছি আমরা।
ঈদুল আযহার অর্থ ত্যাগের উৎসব। সে ত্যাগই যেন স্ত্রী-সন্তানের সাথে ঈদ উদযাপনের বদলে কর্মস্থলে থাকা। সেই ভোর থেকে পালন করছেন দ্বায়িত্ব। আর এরই মাঝে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা একফাঁকে আদায় করেছেন ঈদের নামাজ।
করোনায় যখন থমকে যায় পুরো বিশ্ব, তখন সচল থাকে জরুরী সেবার অন্যতম স্তম্ভ গণমাধ্যম। উৎসব, পালা-পার্বণের খবর প্রস্তুুতে তাই মেলে না ফুরসত।
ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিস সৈকত জানান, আমরা কিন্তু নিউজরুমে পালাক্রমে কাজ করছি ২৪ ঘন্টা। প্রতিদিন অফিসে এত বেশি সময় কাটাতে হয় যে, এখানেই তৈরি হয়ে যায় আরো একটা পরিবার। তাই ঈদের দিনে কর্মক্ষেত্রটা তখন বাড়তি বোঝায় আর পরিণত হয় না।
করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে ঈদের পরপরই আবারও কঠোর বিধিনিষেধ শুরু। কিন্তু জরুরী পেশায় নিয়োজিত কর্মীদের তখনও থাকতে হবে আরো বেশি সতর্ক, দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত