খুনি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে রক্তপাতের রাজনীতি শুরু হয়েছিল: খালিদ মাহমুদ

| আপডেট :  ২২ আগস্ট ২০২১, ০৪:৩৬  | প্রকাশিত :  ২২ আগস্ট ২০২১, ০৪:৩৬

বাদল সাহা, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, খুনি জিয়াউর রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশে রক্তপাতের রাজনীতি শুরু হয়েছিল। একই ধারাবাহিকতায় তার স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ছেলে তারেক রহমান বাংলাদেশে খুন, নৈরাজ্য, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের রাজনীতি কায়েম করেছিল। এই জিয়াউর রহমানের পরিবারকে বাংলাদেশের মানুষ একটি খুনী পরিবার হিসাবে চিহ্নিত করেছে। বঙ্গবন্ধুর রক্তের কাছে আমরা ঋণী। আমরা শপথ করতে চাই এই খুনিরা যাতে বাংলাদেশে আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে। তারা যেন বাংলাদেশর রাজনীত ও জনপদকে কলংকিত করতে না পরে।

আজ রবিবার (২২ আগষ্ট) দুপুর ১২ টায় মংলা বন্দরের আয়োজনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের বিভন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্টের খুনির যেখানেই থাকুক না কেন তাদেরকে দেশে এনে বিচারের রায় কায্যকর করা হবে। খুনিরা এক সময় মনে করেছিল বাংলাদেশে তাদের বিচার হবে না। ২১ আগস্টেরও জঘন্যতম ঘটনা ঘটানোর শাস্তি পেতে হবে খুনিদের। বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র সুসংহত হয়েছে। বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। এর একমাত্র সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, অত্যান্ত দু:খের সাথে বলতে হয় ৭৫ এর ১৫ আগস্টের পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার করা যাবে না এমন আইন পাশ করা হয়েছিল। সেই কারনে দীর্ঘ দিন বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার করা যায়নি। ৯৬ তে জনগনের রায়ে শেখ হাসিনা প্রথমবারের মত ক্ষমতায় এসে সংসদে এই আইন বাতিল করে বিচারের পথ প্রসস্থ করেছিল।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রী আরো বলেন, ১৫ আগষ্ট আমরা স্বর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গলী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছি। এর মধ্য দিয়ে বাঙ্গালী জাতি যে অন্ধকারে পতিত হয়েছিল, সেই অন্ধকার থেকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রতিষ্ঠা ও সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।

মোংলা বন্দরের আয়োজনে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী টুঙ্গিপাড়া উপজেলার গিমাডাঙ্গা নাসেরিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও এতিম খানায় দু:স্থ ও এতিম শিশুদের মাঝে খাবার বিতরন করেন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে পুস্পস্তবক অর্পন করে গভীর শ্রদ্ধা জানান। পরে বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এরপর, নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, নৌ পরিবহন অধিদপ্তর, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বিআইডাব্লুউটিএ, বিআইডাব্লুউটিমি এর চেয়ারম্যান ষেয়দ মো: তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ নৌপরিবহন কতৃপক্ষ এর চেয়ারম্যান, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া শেখ রাসেল দুস্থ: প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন কেন্দ্রের শিশুদের মাঝে শিক্ষা উপকরন বিতরণ করেন।

এসময় নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, মোংলা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা, কাপ্টেন এম আব্দুল ওয়াদুদ তরফদার, পরিচালক প্রশাসন মো: শাহীনুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: ইলিয়াছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মো: বাবুল শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুলসহ মংলা বন্দরের কর্মকর্তবৃন্দ ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত