পানশিরে তালেবানকে ‘সহযোগিতা’, পাকিস্তানকে দুষছে ইইউ পার্লামেন্ট

| আপডেট :  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০৫  | প্রকাশিত :  ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১২:০৫

আফগানিস্তানে প্রতিরোধ ফ্রন্ট ও তালেবানদের মধ্যে লড়াইয়ে তালেবানকে সহযোগিতা করার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। গত মঙ্গলবার এ ব্যাপারে একটি প্রস্তাব পাসের পর পাকিস্তানের প্রতি নিন্দা জানিয়েছে পার্লামেন্ট।

আফগানিস্তানের পানশির প্রদেশে আহমদ মাসউদের নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল রেজিস্টেন্স ফ্রন্ট অফ আফগানিস্তানের (এনআরএফ) বিরুদ্ধে তালেবানের লড়াইয়ে পাকিস্তানের সহায়তা করার সমালোচনা করেছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট।

আফগানিস্তানে ইসলামিক আমিরাত ঘোষণার পর পানশির উপত্যকার নিয়ন্ত্রণ নিতে তালেবান এখনও এনআরএফ’র সঙ্গে যুদ্ধ করছে। এর আগে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, পাকিস্তান সক্রিয়ভাবে এই যুদ্ধে জড়িত। এখন ইউরোপীয় পার্লামেন্ট তালেবানকে যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য পাকিস্তানকে ব্যাপক তিরস্কার করছে।

তালেবান ইতিমধ্যে কাবুলে তাদের শাসন কার্যক্রম শুরু করেছে এবং ইইউ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় গত দুই দশকে দেশটির অর্জনের বিপরীতে অসংখ্য দমনমূলক ব্যবস্থা চালু করেছে। কয়েকটি দেশ ছাড়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের উন্নয়ন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বলেছে, তালেবান সরকারকে সমর্থন করা যাবে না কারণ জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞার আওতাধীন ব্যক্তি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ী ব্যক্তিরা তালেবানে অন্তর্ভুক্ত।

তালেবান সরকারে পাকিস্তানের পাসপোর্টধারীরা

ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিজ্ঞপ্তিতে দাবি করা হয়, তালেবান সরকারের পদে থাকা ব্যক্তিদের বেশিরভাগেরই পাকিস্তানের পাসপোর্ট রয়েছে এবং তারা দেশটিকে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘তালেবানের তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হয় তালেবানের অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের প্রতিশ্রুতি না রেখে। তালেবান মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় ভেঙে দিয়েছে। তারা আফগানিস্তানে নেতৃত্বের ভূমিকায় নারীদের অংশগ্রহণের কথা চিন্তা করে না। নারী নেতৃত্ব, কর্মকর্তা-কর্মীদের নির্যাতন করছে। সশস্ত্র এই গোষ্ঠী নারী অধিকার নিয়ে বিক্ষোভকে ছত্রভঙ্গ করতে অস্ত্র ব্যবহার করেছে।

শঙ্কা রয়েছে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা দূরীকরণ আইন- যা শিশু ও জোরপূর্বক বিয়ে, পারিবারিক সহিংসতা ও নারীর বিরুদ্ধে অসংখ্য নির্যাতনের জন্য ফৌজদারি শাস্তি আরোপ করতে পারে- তা বাতিল করতে পারে তালেবান।

তালেবানের মধ্যে বিভাজন?

এদিকে সূত্রগুলো গতকাল বুধবার রিপাবলিক মিডিয়া নেটওয়ার্ককে জানিয়েছে, তালেবানের মন্ত্রিসভায় ইতিমধ্যেই ফাটল দেখা দিয়েছে। কারণ উপ-প্রধানমন্ত্রী ও তালেবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা গনি বারাদার পাকিস্তানভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন হাক্কানিদের অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্তকে প্রতিহত করেছেন।

বিদ্রোহের অংশ হিসেবে মোল্লা গনি বারাদার তালেবানের সভায় যোগ দেননি, যে সভায় উপস্থিত ছিলেন তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানি ও শরণার্থী মন্ত্রী খলিল উর রহমান হাক্কানি। আফগানিস্তানে ইসলামি আমিরাতের সরকার ঘোষণার কয়েক সপ্তাহ পর তালেবানদের মধ্যে বিভক্তির খবর পাওয়া গেছে। সূত্র : রিপাবলিকওয়ার্ল্ড

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত