মুরগির দাম কমেছে, ডিম ডজনে ১০

| আপডেট :  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১১:২৮  | প্রকাশিত :  ৩০ এপ্রিল ২০২১, ১১:২১

রোজার মাঝামাঝিতে এসে মুরগির বাজারে ফিরেছে স্বস্তি। লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকা মুরগির দাম কমছে। পাইকারি ও খুচরায় পাকিস্তানি ও দেশি মুরগির দাম কমেছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। প্রতি ডজনে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে ডিমের দামও। বিক্রেতারা বলছেন, রোজায় হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ ও লকডাউনে চাহিদা কমার প্রভাব। রোজার শুরুতেও রাজধানীর পাইকারি আড়তে সোনালি মুরগি বিক্রি হতো প্রতি কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়; দেশি মুরগি জোড়া ছিল ৯০০টাকা; ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৪০ টাকায়। তবে রোজায় হোটেল-রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকায় চাহিদা কমায় প্রভাব পড়েছে দামে।

শুক্রবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি আড়তে গিয়ে দেখা গেল সোনালি মুরগির দাম কমে বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়; দেশি মুরগি জোড়া বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮০০ টাকায়।

বিক্রেতারা জানান, আগে তারা ৩২০ থেকে ৩৩০ টাকা যে মুরগি বিক্রি করতেন এখন তা কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। করোনার পর থেকেই লসে আছে বলেও জানান তারা।

মোহাম্মদপুর টাউন হল মার্কেটে গিয়ে দেখা গেল পাইকারি বাজারের প্রভাব পড়েছে খুচরায়।

খুচরা বিক্রেতারা জানান, মাস খানেক আগে পাইকারি বাজারে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা যে মুরগি বিক্রি হতো খুচরা তা ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বর্তমানে কেজি প্রতি মুরগির দাম ১০০ টাকা কমেছে বলেও জানান তিনি। যেখানে এক হাজার ২০০ মুরগি বিক্রি হয়েছে সেখানে বিক্রি কমে ৫০০ থেকে ৬০০ দাঁড়িয়েছে।

দাম কমেছে ডিমেরও। প্রতি ডজন লেয়ার মুরগির ডিম ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়; দেশি মুরগি ডিম প্রতি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

এদিকে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম। বিক্রি হচ্ছে ৫৮০ টাকা কেজি দরে। খাসির মাংস ৯০০ টাকা আর বকরির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কেজি দরে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত