বাইডেন-সি চিনপিং বৈঠক: যে সব আলোচনা হলো
বাণিজ্য বিরোধ, উইঘুর নিপীড়ন, দক্ষিণ চীন সাগরে আধিপত্য এবং তাইওয়ান নিয়ে বৈশ্বিক দুই পরাশক্তির মধ্যে যখন উত্তেজনা তুঙ্গে, তখন পারস্পারিক তিক্ততা দূর করতে প্রথমবারের মতো ভার্চুয়ালি বৈঠকে বাইডেন-সি চিনপিং। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় সকাল পৌনে ৭ টার দিকে, হোয়াইট হাউজের রুজভেল্ট রুমের কনফারেন্স টেবিলে বাইডেন। অপরপ্রান্তে চীনা প্রেসিডেন্ট।
আলোচনার শুরুতেই বাইডেন বলেন, হয়ত আরও আনুষ্ঠানিক রীতি মেনে শুরু করা উচিত ছিলো। কিন্তু আপনি এবং আমি কখনোই নিজেদের মধ্যে অত আনুষ্ঠানিকতায় যাইনি। যুক্তরাষ্ট্র চীনের দ্বিপক্ষীয় সর্ম্পক শুধু দুই দেশের ওপর নয়, সত্যি বলতে পুরো বিশ্বের ওপরই এটা প্রভাব ফেলে।
দোভাষির মাধ্যমে আলোচনায় অংশ নেন সি চিনপিং। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে প্রাণবন্ত ও স্থিতিশীল সর্ম্পক গড়ে তোলার ওপর জোর দেন চীনা প্রেসিডেন্ট। বলেন, আপনি পুরনো বন্ধু। চীন- যুক্তরাষ্ট্র উভয়দেশ বহু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছি। সুসর্ম্পক এগিয়ে নিতে দুই দেশকে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাব মোকাবিলা এবং করোনা মহামারির মতো সংকট সমাধানে, দুই দেশ ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কোনো বিকল্প নেই।
সংঘাত নয় বরং প্রতিযোগিতামূলক কাজ করে যেতে দু দেশকে আহ্বান করে বাইডেন বলেন, ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছাকৃতভাবেই হোক না কেন, আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে। এটি যেন সংঘর্ষের পর্যায়ে না যায়, এজন্য অবশ্যই সীমারেখা তৈরি করতে হবে।
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর, টেলিফোনে দুই নেতার দেড় ঘণ্টার কথোপকথোন হলেও এটাই প্রথম আনুষ্ঠানিক শীর্ষ বৈঠক। এ আলোচনার মাধ্যমে, বিশ্বের শীর্ষ দুই অর্থনীতির দেশের বিরোধ খানিকটা হলেও প্রশমিত হবে বলে আশা বিশ্লেষকদের।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত