ইয়াস আসার আগেই ঢাকায় বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আসার আগেই দেশের উপকূলীয় এলাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা, কক্সবাজার, খাগড়াছড়ি, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পাবনা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, জয়পুরহাটে মুষলধারে বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। তীব্র তাপদাহের পর বৃষ্টিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন সাধারণ মানুষ। রাতের মধ্যে ঢাকায়ও বৃষ্টি হতে পরে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে এখনও বাংলাদেশের সীমানায় আসেনি। সন্ধ্যা নাগাদ এর প্রভাব পড়তে শুরু করতে পারে। এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে তা স্থানীয় আবহাওয়ার কারণে। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আকাশের মেঘমালা তৈরি হয়েছে। তারই প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমে আসবে।
তিনি আরও জানান, ঢাকার আশপাশে বেশ কিছু মেঘ আছে। সে কারণে আমরা রাতের মধ্যে ঢাকায়ও বৃষ্টি হতে পারে বলে মনে করছি। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর, রাজশাহী, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দেশের প্রায় সব বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তা এই বৃষ্টি কমে আসতে পারে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সীতাকুণ্ডে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভাগীয় শহরগুলোর মধ্যে আজ ঢাকায় ৩৮ দশমিক ১, ময়মনসিংহে ৩৭, চট্টগ্রামে ৩৭ দশমিক ৮, সিলেটে ৩৮ দশমিক ৩, রাজশাহীতে আজ ৩৭ দশমিক ৮, রংপুরে ৩৭ দশমিক ৫, খুলনায় ৩৬ এবং বরিশালে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কুতুবদিয়া ৩৫ মিলিমিটার। এছাড়া চুয়াডাঙ্গায় ৩৩, কক্সবাজারে ২৮, গোপালগঞ্জে ২৬, সাতক্ষীরায় ১৬, খেপুপাড়ায় ১৪, খুলনায় ১৩, মাইজদীকোটে ৯, পটুয়াখালীতে ৬, রাজশাহী ও কুমিল্লায় ৫, বদলগাছি, চট্টগ্রামে ৪, টেকনাফে ৩, সন্দ্বীপে ২, রাঙামাটিতে ১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া যশোর, ঈশ্বরদী, হাতিয়ায় সামান্য বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত বিশেষ সতর্ক বার্তায় বলা হয়, পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে এবং এর আশপাশের এলাকায় সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ইয়াস সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রায় একই এলাকায় অবস্থান করছিল। এটি দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ৬৭৫ কিলোমিটার থেকে কিছুটা এগিয়ে সন্ধ্যায় ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। কক্সবাজার থেকে ৬০৫ কিলোমিটার থেকে ৫৯০ কিলোমিটার দক্ষিণ -দক্ষিণ পশ্চিমে এগিয়েছে। মোংলা বন্দর থেকে এটি ৬৫০ কিলোমিটার থেকে এগিয়ে ৬৩০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা বন্দর থেকে ৬০৫ কিলোমিটার থেকে এগিয়ে ৫৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছে।
অনুকূল আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ২৬ মে ভোর নাগাদ ঝড়টি উত্তর উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের খুলনা উপকূলের কাছ দিয়ে উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় পৌঁছাতে পারে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত