বেড়িবাঁধ ভেঙে পানি ঢুকছে শুরু করেছ সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায়
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস এর প্রভাবে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা, কৈখালী, মুন্সিগঞ্জ ও পদ্মপুকুর ইউনিয়নের কয়েকটি স্থানে মঙ্গলবার বিকেল থেকে বেড়িবাঁধ ভেঙে এবং বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি উঠেছে। স্থানীয় লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ সংস্কারের আপ্রাণ চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার দুপুর থেকে দমকা হাওয়ার সঙ্গে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারিদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নদীর পানি প্রায় তিন ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে আনার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ বহনযোগ্য সম্পদ নিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতিও নিয়েছেন। এ ছাড়া উপকূল এলাকা আশাশুনির প্রতাপনগর, শ্রীউলা, আনুলিয়া, খাজরা এবং শ্যামনগরের পদ্মপুকুর, গাবুরা, বুড়িগোয়ালিনী, আটুলিয়া, কৈখালি , ঈশ্বরীপুর, রমজাননগর, কাশিমারিসহ সুন্দরবন লাগোয়া মুন্সিগঞ্জ হরিনগর এলাকায় মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে। দেড় হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত করা হয়েছে মানুষের আশ্রয়ের জন্য। এর মধ্যে শ্যামনগর উপজেলার ১০৩টি আশ্রয়কেন্দ্রের ধারণ ক্ষমতা ৭৫ হাজার বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আ ন ম আবু জার গিফারি। এ ছাড়াও জেলায় দেড় হাজার স্কুল কলেজ মাদ্রাসাও আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। কোভিড পিরিয়ডে নিরাপত্তা বজায় রেখে তাদের খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হবে বলে জানান ইউএনও।
অপরদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধগুলি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শ্যামনগর ও আশাশুনি উপজেলার বেড়িবাঁধের ৫৫টি পয়েন্ট অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। পূর্ণিমার ভরা কাটাল ও পূর্ণ চন্দ্র গ্রহণের সময় ইয়াস এর দাপটে জলোচ্ছাসের আশংকা করছেন উপকূলবাসী।
এদিকে পশ্চিম সুন্দরবনের সাতক্ষীরা রেঞ্জের বন বিভাগের ৮টি টহল ফাঁড়ির সব সদস্যকে নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সহকারি বন সংরক্ষক এম এ হাসান বলেন, ইয়াস আঘাত করলে এবং অস্বাভাবিক জলোচ্ছাস হলে তাদেরকে উদ্ধার করে আনার জন্য নৌযানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত