27 C
Dhaka
সোমবার, মে ২৯, ২০২৩

২৪ ঘণ্টা পার না হতেই ফের চলছে স্পিডবোট

স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এ ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পার হওয়ার আগেই মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট এলাকা থেকে স্পিডবোট ছাড়ছে আজ মঙ্গলবার (৪ মে)। মাদারীপুরের বাংলাবাজারের অদূরে চরের মধ্যে নামিয়ে দিচ্ছে যাত্রীদের। এর আগে সোমবার (৩ মে) শিবচরের বাংলাবাজারে বাল্কহেডের সঙ্গে একটি স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জনের প্রাণহানি হয়।

মঙ্গলবার (৪ মে) বাংলাবাজার ঘাটে নৌ নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সংস্থাগুলোর কোনো তদারকি বা নজরদারি চোখে পড়েনি। দুপুর পর্যন্ত ঘাটে কাউকে দেখা যায়নি। এই সময়ে কোনো স্পিডবোটও ছাড়েনি বরং যাত্রীদের ফেরি ও ইঞ্জিনচালিত নৌকায় (ট্রলার) যাতায়াত করতে দেখা গেছে। তবে পাঁচ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে অদূরে চরের মধ্যে তিনটি স্পিডবোটকে যাত্রী নামিয়ে দিতে দেখা গেছে। জানা গেছে, স্পিডবোটগুলো শিমুলিয়া প্রান্ত থেকে ছেড়ে এসেছে।

নৌ-পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল্লাহ আরেফ গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, বাংলাবাজার ঘাটে নৌ-পুলিশের তদারকি রয়েছে। নৌ-পুলিশের সদস্যরা গতকালের ঘটনায় মামলার আসামি গ্রেপ্তার ও লাশ হস্তান্তরের পরবর্তী কাজে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই সর্বদা ঘাটে থাকতে পারছেন না তারা। তবে শিমুলিয়া থেকে অবৈধ নৌযান ছেড়ে আসার বিষয়ে কিছু বলতে পারেননি তিনি।

মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া, মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও শরীয়তপুরের মাঝির ঘাট এলাকায় লঞ্চ ও ফেরির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে স্পিডবোট ও ট্রলারগুলো যাত্রী পরিবহন করছে। তিনটি ঘাটে অন্তত ২০০টি ট্রলার ও ৪৫০টি স্পিডবোট চলাচল করে। ট্রলারে ৮০-১০০ এবং স্পিডবোটে ৩০-৩৫ জন করে যাত্রী বহন করা হয়। অথচ স্পিডবোট ও ট্রলার চলাচলের সরকারি কোনো অনুমতি নেই।

এসব নৌ-ঘাট এলাকায় নৌ-নিরাপত্তা ও অবৈধ নৌ-যান নিয়ন্ত্রণে নৌ-পুলিশ, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগ, কোস্টগার্ড ও জেলা প্রশাসনের কাজ করার কথা। কিন্তু আজ মঙ্গলবার (৪ মে) বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় এই তিনটি সংস্থার কোনো সদস্যই ছিল না।

শিবচরের চর জানাজাত নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক গণমাধ্যমকে জানান, ঘাট ইজারাদার ও দু’জন মালিককে আসামি করে মামলা হয়েছে। ওই মামলা সংক্রান্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় এখনো ঘাটে যাওয়া সম্ভব হয়নি। এছাড়া ফাঁড়িটিতে আট সদস্যের জনবল রয়েছে। আপাতত নদীতে দায়িত্ব পালনের জন্য কোনো নৌ-যান না থাকায় তীরে হেঁটেই দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে তাদের।

Related Articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

Stay Connected

0FansLike
3,785FollowersFollow
0SubscribersSubscribe
- Advertisement -

Latest Articles