এরদোগানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, যা বলল তুরস্ক

| আপডেট :  ১৯ মে ২০২১, ০৭:২৪  | প্রকাশিত :  ১৯ মে ২০২১, ০৭:২৪

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগানের বিরুদ্ধে ইসরাইল সম্পর্কে ইহুদিবিদ্বেষী মন্তব্যের অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। এ নিয়ে এরদোগানের বিরুদ্ধে বিবৃতি দিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তবে তুরস্কের পক্ষ থেকে এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ করছে ইসরাইল, এটা তাদের প্রকৃতি বলে সম্প্রতি মন্তব্য করেছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

তবে এ মন্তব্যকে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ডেড প্রাইস নিন্দনীয় বলে উল্লেখ করেন। এর এক দিন আগে এরদোগানের দলের মুখপাত্র ওমর সেলিক বলেছেন, তুরস্কের নেতা ইহুদিবিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ইহুদিবিদ্বেষী অভিযোগ অযৌক্তিক এবং অসত্য উপস্থাপন। এটি একটি মিথ্যা।

নেড প্রাইস এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং অন্যান্য তুর্কি নেতার উসকানিমূলক কোনো মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছে। এ ধরনের মন্তব্য সহিংসতা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে।

‘ইহুদিবিদ্বেষী ভাষার স্থান কোথাও নেই’, যোগ করেন নেড প্রাইস।

তবে এরদোগানের কোন মন্তব্যকে যুক্তরাষ্ট্র ইহুদিবিদ্বেষী বলে মনে করছে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি নেড প্রাইস। এ বিষয়ে জানতে চাইলে, রয়টার্সকে তাৎক্ষণিক কোনো জবাবও দেয়নি মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর।

ইসরাইলি বর্রতার বিরুদ্ধে বরাবরই সোচ্চার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর পবিত্র রমজান মাসে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এরদোগান। জেরুজালেমে ফিলিস্তিনিরা ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে পাথর ছুড়লে প্রত্যুত্তরে ইসরাইলি পুলিশ তাদের ওপর রাবার বুলেট ছোড়ায় ইসরাইলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে আখ্যা দিয়েছেন এরদোগান।

সম্প্রতি ইসরাইল ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখলে নেওয়ার প্রচেষ্টা চালায়। এ নিয়ে সেখানকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দাদের মধ্যে থেমে থেমে উত্তেজনা চলে আসছিল। গত ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা আদায় করতে বিপুল সংখ্যক মুসল্লি আলআকসা মসজিদে সমবেত হলে ইসরাইলি বাহিনী তাদের ওপর হামলা চালায়। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে ইসরাইলি বাহিনী।

এর দুদিন পর শবে কদরেও আলআকসা মসজিদে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে গাজা সীমান্তে বিক্ষোভ শুরু হয়। পরে গত ১০ মে থেকে গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ হামলা বন্ধের আহ্বান জানালেও তা আমলে নেয়নি ইসরাইল।

ফিলিস্তিনি ও ইসরাইলের মধ্যে সংঘর্ষ দশম দিনে পড়েছে। এ পর্যন্ত ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনের ২১৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৬৩ জন শিশু রয়েছে। এ ছাড়া দেড় হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। অপরদিকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে হামাসের হামলায় ১২ ইসরাইলি নিহত হয়েছেন। পাশাপাশি এ পর্যন্ত আহত হয়েছেন তিন শতাধিক ইসরাইলি। খবর-বিবিসির।

  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত