গোয়াল ঘরে গরুর পাশে ছেঁড়া কাথায় ঘুমান দু:খিনী মা
রংপুরের মিঠাপুকুরে গোয়াল ঘরে শুয়ে দিন কাটানো হতদরিদ্র বৃদ্ধা ফেলানি বেওয়া। পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হওয়ার কারণে চলাফেরাও করতে পারেন না তিনি। অবশেষে তার বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দিলেন রংপুর জেলা পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার।
উপজেলার লতিবপুর ইউনিয়নের অভিরামপুর গ্রামের বাসিন্দা ফেলানি বেওয়া (৭৫) বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। বছর খানেক আগে তার দুই পা পক্ষাঘাতে আক্রান্ত হয়। এখন তিনি পঙ্গু। কোনো কাজ করতে পারেন না তিনি। বর্তমানে সন্তানদের অবহেলার শিকার এই ফেলানি। তার জন্য থাকার জায়গা জোটেনি জন্ম দেওয়া সন্তানদের ঘরে। এ কারণে গোয়াল ঘরে গরুর পাশে একটি ছেঁড়া কাথায় ঘুমাতে হয় তাকে। দীর্ঘদিন থেকে এভাবে চলছে তার জীবনের পথচলা। স্থানীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেলানির মানবেতর জীবযাপনের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তা নজরে আসে রংপুর জেলার মানবিক পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকারের। তিনি দ্রুত ফেলানির বাড়িতে চাল, ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পাঠান।
আজ মঙ্গলবার হতদরিদ্র ফেলানির থাকার জন্য একটি বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেন তিনি। রংপুর জেলা সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলমকে পাঠিয়ে দেন অভিরামপুরে বৃদ্ধ ফেলানির বাড়িতে। তার চলাফেরার জন্য একটি হুইল চেয়ারও প্রদান করা হয়। তার থাকার জন্য একটি বসতঘরের ব্যবস্থা করে দেন তিনি।
সহকারী পুলিশ সুপার আশরাফুল আলম বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে এসপি মহোদয়ের হৃদয়ে নাড়া দেয়। তার নির্দেশে আমি ফেলানীর বাড়িতে গিয়ে একটি হুইল চেয়ার ও বাসস্থান তৈরির জন্য নগদ টাকা পৌঁছে দেই।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত