ঈশ্বরগঞ্জে ১০ টাকা কেজির চাউল ওজনে কম দেয়ার অভিযোগ
ময়মনসিংহ করেস পন্ডেন্ট: ময়মনসিংহ জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্য অধিদফতর পরিচালিত হত দরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
সুত্র জানায়, গত সোমবার (১৪ মার্চ) উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে খাদ্য অধিদপ্তরের ১০ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণ শুরু হয়। তবে, ১০ টাকা দরে কেজির ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ২৮ কেজি বা তারও কম।
মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সরেজমিন উচাখিলা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ডিলার এম এ মালেক সরকার ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্র করছেন। তবে, কোন কার্ডধারী ৩০ কেজি করে চাল কিনে বাড়িতে নিয়ে মাপ দিলেই হয়ে যাচ্ছে ২৮ কেজি।
চাল নিতে আসা একাধিক কার্ডধারী ব্যক্তি জানান, প্রতিবার এখান থেকে চাল নিয়ে বাড়িতে গিয়ে মাপ দিলেই দেখা যায়, ৩০ কেজি চালের মধ্যে দেড় থেকে দুই কেজি কম। এবারও ৩০ কেজির মধ্যে প্রায় দুই কেজি কম হয়েছে।
পরে বিষয়টি প্রমাণ করতে কয়েক জনের কেনা চাল ডিলারের সামনে মাপ দিলে ২৮ কেজি হয়। তবে, দুই কেজি চাল কমের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার মালেক বলেন, কম হবার কথা না, কিন্তু কিভাবে কম হয়ে গেলো বুঝতে পারছিনা।
অপরদিকে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারের ডিলার মোঃবোরহান উদ্দিনের এখানে গিয়েও দেখা যায় একেই অবস্থা। সেখানেও চাল মাপ দিলে প্রায় দুই কেজি পরিমাণ চাল কম পাওয়া যায়। উপজেলা প্রশাসন থেকে চাল বিতরণের সময় একজন তদারকি কর্মকর্তা থাকার কথা থাকলেও সরেজিনে কাউকে পাওয়া যায়নি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃজয়নুল আবেদীন জানান, ডিলাররা চাল ওজনে কম দেওয়ার বিষয়টি আমি আজকেই শুনলাম, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলেন, ১০ টাকা দরের ৩০ কেজি চালে কম দেয়ার বিষয়টি প্রথম জানলাম। তবে, এ বিষয়ে কোন কার্ডধারী অভিযোগ করেনি। তারপরেও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত