চীনের সঙ্গে সৌদি আরবের যে আলোচনায় উদ্বেগে পশ্চিমারা
রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে এরই মধ্যে জ্বালানি তেল সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ভেঙেছে। রাশিয়ার কাছ থেকে তেল নিতে না পেরে অন্য উৎস থেকে তেল সংগ্রহ করছে গোটা ইউরোপ।
এমনকি দ্বন্দ্ব থাকা সত্ত্বেও তেল পেতে ভেনিজুয়েলার সঙ্গে আঁতাত করছে যুক্তরাষ্ট্র। সৌদি আরব, আমিরাতের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চালাচ্ছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীও তেলের জন্য সৌদি আরবের মন গলাতে দেশটি সফরে যাচ্ছেন বলেও খবর মিলেছে।
জ্বালানি তেল নিয়ে চলমান এ পরিস্থিতির মধ্যেই সামনে এলো নতুন খবর। পশ্চিমাদের একরকম উপেক্ষা করেই চীনা মুদ্রা ইউয়ানেই তেল বিক্রির চিন্তাভাবনা করছে সৌদি। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়ার স্ট্রিট জার্নাল এক বিশেষ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, কিভাবে কিছু তেল ইউয়ানে বিক্রি করা যায় তা নিয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে আলোচনা করছে সৌদি আরব। এর ফলে মার্কিন ডলারের ব্যবহার কমবে এবং চীন ও সৌদি আরব সম্পর্ক আরও মজবুত হবে। আর তা নিয়েই উদ্বিগ্ন পশ্চিমারা।
প্রায় ছয় বছর ধরে এ নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছিল। তবে চলতি বছরে ওয়াশিংটনের সঙ্গে রিয়াদের সম্পর্কে চিড় ধরায় মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে আলোচনা আরও এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। একদিকে রাশিয়াকেই ঠেকানো যায় না, তার ওপর চীন দিনকে দিনকে সব দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে পশ্চিমাদের জন্য।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ওই প্রতিবেদনে এটাও বলা হয়েছে যে, চীন তার মোট জ্বালানি তেলের ২৫ শতাংশই সৌদি আরব থেকে আমদানি করে থাকে। সে হিসাবে দেখতে গেলে বছরে কোটি-কোটি টাকার বাণিজ্য হবে চীন-সৌদি আরবের মধ্যে। যা এতদিন মার্কিন ডলারে হতো তা এবার চীনা মুদ্রায় হবে।
এর আগে ভারতের কাছে কিভাবে হ্রাসকৃত মূল্যে ভারতীয় মুদ্রা রূপিতে তেল বিক্রি করা যায় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চালিয়েছে রাশিয়া।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে বিনিময়ের মাধ্যম হিসেবে মার্কিন ডলার বিশ্বব্যাপী আর্থিক ব্যবস্থায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। ফলে রাশিয়া এবং ইরানের মতো দেশগুলোর ওপর শক্তিশালী নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে এবং তাদের আন্তর্জাতিক লেনদেন থেকে দূরে রাখতে সক্ষম হয় মার্কিনীরা।।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত