সিলেটের বহুতল ভবন ছাড়ে টিনশেডের বাড়িতে যাচ্ছে মানুষ
সিলেট অঞ্চলে শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধাপে ধাপে চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এতে মানুষ বড় ভূমিকম্পের আতঙ্কে বহুতল ভবন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাচ্ছেন।
শনিবার (২৯ মে) সিলেটের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে দেখা গেছে, ভূমিকম্পের আতঙ্কে বহুতল ভবন ছেড়ে অনেকে নিরাপদ হিসেবে টিনশেডের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন। তবে যাদের টিনশেড বাড়িতে ওঠার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই তারা অনেকটাই আতঙ্কের মধ্যে বহুতল ভবনে আছেন। আর যারা বহুতল ভবনে ভাড়া ছিলেন তাদের অনেকে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে চলে যেতে দেখা গেছে।
সিলেটের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের মেট্রোলজিস্ট মমিনুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটে ৩ দশমিক শূন্য রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হয়। দ্বিতীয় ঝাঁকুনি ১০টা ৫০ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ৪ দশমিক ১ রিখটার স্কেলে। তৃতীয়টা ১১টা ২৯ মিনিট ৫৩ সেকেন্ডে ২ দশমিক ৮ মাত্রা এবং চতুর্থটি ২টার দিকে ৪ দশমিক শূন্য রিখটার স্কেলে কেঁপে ওঠে সিলেট।
সিলেট নগরের গার্ডেন টাওয়ারের প্রায় ১০ পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন। নগরের উপশহর বহুতল ভবন স্প্রিং টাওয়ার, মাল্টিপ্ল্যান, সুবিদবাজার এক্সেল টাওয়ার, টিলাগড়ের কয়েকটি ভবনের বাসিন্দারা বহুতল ভবন ছেড়েছেন।
নগরের সুবিদবাজারের বাসিন্দা আখতার হোসেন বলেন, বড় ভূমিকম্পের আতঙ্কে পরিবারের সদস্যরা বহুতল ভবনে থাকতে ভয় পাচ্ছেন। সেজন্য গ্রামের বাড়ি বড়লেখায় পাঠিয়ে দিয়েছি। বাড়িতে টিনশেডের ঘর। অনেকটা নিরাপদ।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুর ও পরিবেশ কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. জহির বিন আলম বলেন, বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট অঞ্চল ভূমিকম্পের অধিক ঝূঁকিপূর্ণ এলাকার মধ্যে পড়েছে। যেকোনো স্থানে বড় ভূমিকম্প হওয়ার আগে ও পরে ছোট ছোট ভূমিকম্প হয়। সেদিক থেকে আগামী কমবেশি ১০ দিন সিলেটের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত