ধুনটে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৩ ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

| আপডেট :  ২৫ আগস্ট ২০২২, ০২:৩২  | প্রকাশিত :  ২৫ আগস্ট ২০২২, ০২:৩২

সুমন হোসেন, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ বগুড়ার ধুনট পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ৩ ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করে আহত করার অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগিরা। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জেরে ও একটি গাছ ভেঙে ফেলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ বাধে।

গত বুধবার (২৪ শে আগস্ট) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে উপজেলা নিমগাছি ইউনিয়নের বেড়েরবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ছুরিকাহতরা হলেন- আব্দুল হামিদ (৬৫), আফজাল ফকির (৬৪) ও জাহাঙ্গীর (৩৬)। এই তিনজনই বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

লাঠির আঘাতে আহতরা হলেন- মেরিনা বেগম (৫৫) ও আল্পনা বেগম (২৪)। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়নি। আহত সবাই বেড়েরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা।

ছুরিকাঘাতের ঘটনায় অভিযুক্ত হলেন মানিক (২৩)। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার আপন ভাই জুয়েল (১৮) এবং আল্লাদি বেগম (৩০)। তারা বেড়েরবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা। তাদের বাবার নাম আব্দুল জলিল।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেরিনা ও একই গ্রামের বাসিন্দা আল্লাদির মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। তারা আত্মীয়-স্বজন। পারিবারিক বিভন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব। মেরিনার বাড়ির আঙিনায় একটি পেয়ার গাছ আছে। বুধবার সকালে ওই গাছটি ভাঙা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন মেরিনা ও তার মেয়ে আল্পনা। তাদের ধারণা আল্লাদি বেগম ওই পেয়ারার গাছটি ভেঙে ফেলেছে। তারা আল্লাদিকে পেয়ার গাছ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে আল্লাদি ক্ষিপ্ত হয়ে একই গ্রামের মানিক নামে এক যুবককে বিষয়টি জানান। মানিক সম্পর্কে আল্লাদির ভাগনে হন। পরে মানিক তার আপন ভাই জুয়েলকে নিয়ে মেরিনার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা মেরিনা ও তার মেয়েক বাড়িতে ঢুকে লাঠিসোটা দিয়ে মারধর করতে শুরু করেন। ওই সময় তাদের উদ্ধার করতে গিয়ে ছুরিকাঘাতের শিকার হন তিনজন।

মেরিনার মেয়ে জামাই আলমগীর হোসেন জানান, তার শশুর বাড়ির আঙিনায় একটি পেয়ারার গাছ ছিল। গাছটি তিনি নিজে রোপন করেছিলেন। সেই গাছটি শক্রতা করে ভেঙে ফেলা হয়েছে। গাছের বিষয়ে আল্লাদির সঙ্গে কথা বলেন তার শাশুড়ি মেরিনা। এতেই আল্লাদি ক্ষিপ্ত হয়ে লোকজন একত্র করে হামলা চালিয়েছেন। ওই তিনজনকে ছুরিকাঘাত করেছেন মানিক।

ধুনট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মোঃ রাজ্জাকুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়া মাত্রই দ্রুত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত