ভ্যাপসা গরমে নাজেহাল রাজধানীবাসী
দেশজুড়েই পড়েছে তীব্র গরম। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এর আগে শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে বৃষ্টি ঝরবে ২ দিন, কমতে পারে তাপমাত্রা।
এতে বলা হয়, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বর্ষণ হতে পারে।
নাম না প্রকাশে একজন জানান,রাতে ঘুমে বেশি কষ্টকর রাজধানীবাসীর। সারাদিন কাজে থাকায় গরমের আভাস বুজতে না পারলেও।তারে ঘুমানোর সময় সবথেকে বেশি ভ্যাপসা গরমে ঘুমাতে পারেন না অনেকেই।
কয়েক দিনের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে রাজধানীর জনজীবন। একটু প্রশান্তির আশায় মানুষ ছুটছে একটু শীতল কোনো স্থানে। নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ভ্যাপসা গরমে অল্পতেই ক্লান্ত হয়ে পড়ছে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে পশুপাখিও।
এমন গুমোট পরিস্থিতি কেন—জানতে চাইলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক তিন কারণের কথা উল্লেখ করেন। এক, আকাশ অনেকটা মেঘমুক্ত, বিশেষ করে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের। তাই সূর্যকিরণ প্রখরভাবে পড়ছে। দুই, দেশের মধ্যে ঘূর্ণিবায়ু থাকলেও বাতাসের গতিবেগ কম। তিন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি।
ঢাকায় এত গরমের কারণ হিসেবে আবুল কালাম মল্লিক বলেন, বৃষ্টি হয়ে মাটি ভিজে আছে। আর এর ওপর সূর্যের তাপ পড়ে বাষ্পীভবন হচ্ছে। বাড়ছে গরম। মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার এ সময় পরিস্থিতি এমন থাকে। কাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ আরও খানিকটা কমবে। আগামী শুক্রবারের পর থেকে বৃষ্টি হতে পারে আবারও।
প্রসঙ্গত, তীব্র দাবদাহে চীনের অর্ধেক এলাকায় খরা। রেকর্ড তাপমাত্রায় চীনের অর্ধেক অঞ্চলজুড়ে তীব্র খরা দেখা দিয়েছে। এমনকি হিমশীতল এলাকা হিসেবে পরিচিত তিব্বতীয় মালভূমিতেও তীব্র গরম অনুভূত হচ্ছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত