আজকের বাজার দর: যে পণ্যের দাম কমেছে, বাড়ছে
আবারও বেড়েছে মুরগির মাংসের দাম। ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতি কেজি মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরুর মাংসের দাম, প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর কাওরান বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি মুরগির মাংস ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ৭০০ টাকা। গরুর মাংসের কলিজাও একই দামেই বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খাসির মাংস প্রতি কেজি ৯৫০ থেকে ৯৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেয়ার মুরগি ৩০০ টাকা ও সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে।
এদিকে, গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দামও ক্রেতার নাগালের বাইরে। সবজির মধ্যে ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা। প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, বেগুন ৮০ টাকা, পটল, ঢেড়স ও শসা ৬০ টাকা, টমেটো ১৪০, গাজর ১২০-১৩০, পেঁপে, কাচকলা ও আলু ৩০ টাকা এবং বরবটি ৬০-৭০ টাকা ধরে বিক্রি করছেন ব্যবসায়ীরা।
আফরিন শাম্মী নামে এক ক্রেতা জানান, আমরা মধ্যবিত্ত পরিবারের মানুষরা মুরগির মাংসটাই সবচেয়ে বেশি খাই। পূজার ছুটি উপলক্ষে অনেকেই বাসায় বেড়াতে এসেছেন। মাংস কিনতে চেয়েছিলাম কিন্তু এত দাম হলে কীভাবে কিনবো।
এদিকে, প্রতি আঁটি লালশাক ২৫ টাকা, ডাঁটাশাক ২৫ টাকা এবং পুঁইশাক ৩০-৩৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের মধ্যে প্রতি কেজি ইলিশ ৭০০-৭৫০ টাকা, চিংড়ি মাছ ৬০০-১২০০ টাকা, আকার ভেদে শিং মাছ ৫০০-৭৫০ টাকা, পাঙাশ ১৬০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, রুই ২৫০ টাকা, সিলভার কার্প ১৪০ টাকা, কৈ ২২০-২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাংস বিক্রেতা মো. কামাল হোসেন জানান, বর্তমানে মাংসের বাজারের অবস্থা ভালো না। ৭০০ টাকার নিচে কোথাও গরুর মাংস নেই। দাম বেড়ে যাওয়ায় কেনাবেচা খারাপ।
অন্যদিকে, বাজারে প্রতি কেজি আটাশ চাল ৬০ টাকা, মিনিকেট ৭০-৭৫ টাকা, গুটি স্বর্ণা ৫৫ টাকা, স্বর্ণা ৫০ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মানভেদে পেঁয়াজ ৩৫ থেকে ৫০ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, আদা ১৯০-২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজি প্রতি মসুর ডাল (মোটা) ১১০ টাকা, চিকন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
মেসার্স তরিকুল ব্রাদার্সের ব্যবসায়ী সজীব ইসলাম জানান, গত সপ্তাহেও খুচরা বাজারে আদার দাম ছিল ১৭০ টাকা। এ সপ্তাহে সেটা এক লাফে ২০ টাকা বেড়েছে। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ায় খুচরা বাজারেও এর প্রভাব পড়েছে।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত