কটিয়াদীতে চুরির করার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় প্রকাশ্য দিবালোকে যুবককে হত্যা

| আপডেট :  ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪৬  | প্রকাশিত :  ০৫ নভেম্বর ২০২২, ০৯:৪৬

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চুরির করার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় চোর নূরে আলম (৩০) প্রকাশ্য দিবালোকে বাবলু মিয়া (৩৫) নামে একজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে । ঘাতক নূরে আলমকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত বাবলু মিয়া কটিয়াদী পৌর সভার পশ্চিম পাড়া মহল্লার নদীর চরের মো. আব্দুল মোতালিবের ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে কটিয়াদী পশ্চিম পাড়া আওয়াল বিড়ি ফ্যাক্টরির সংলগ্ন স্থানে ।

এলাকাবাসী জানান, শুক্রবার দিবাগত রাতে বাবলু মিয়ার ঘরে সিঁধ কেটে ডুকে ঘরে থাকা তার মোবাইল ফোন ও বিদেশ যাওয়ার জন্য জমানো নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির করা সময় বাবলু মিয়ার ছেলে আব্দুল্লাহ (৮) চোরকে দেখে চিনতে পারে, চোর প্রতিবেশী নূরে আলম। সকালে আব্দুল্লাহ তার বাবাকে জানায়, ঘরে চুরি করতে আসা দুইজনের মধ্যে প্রতিবেশী নূরে আলম ছিল। ছেলের বক্তব্যের ভিত্তিতে বাবলু মিয়া এলাকার কাউন্সিলরসহ কয়েকজনকে বিষয়টি জানান। চোর নূরে আলমের বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ করছে শুনে সে ছুরি নিয়ে বাবলু মিয়াকে খুঁজতে থাকে।

বাড়ির নিকটবর্তী একশত গজ দূরে দোকানের সামনে বাবলু মিয়া ও তার ছেলে আব্দুল্লাহকে সাথে নিয়ে ঘরে চুরির হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা করছিলো। দোকানের সামনে তাদেরকে দেখে নূরে আলম বিচার দেয়ার বিষয়টি জানতে চায়। এবং লোকজনের সামনে কথা না বলে বাবলু মিয়া ও তার ছেলেকে ডেকে ২০-২৫ গজ দূরে নিয়ে যায়। সেখানে চোর নূরে আলমের পিতা রইছ উদ্দিন, বড় ভাই ফজলুসহ তার পরিবারের আরো কিছু লোকজন অপেক্ষা করতে থাকে। বাবলুকে সেখানে নিয়ে তাদের সামনে চুরির ঘটনায় বিচার দেয়ার বিষয়ে জানতে চেয়ে কথা বলার সময় নূরে আলমের হাতে থাকা ছুরি দিয়ে বাবলু মিয়ার গলায় আঘাত করে গুরুতর জখম করে চলে যায়। ঘটনারস্থল থেকে স্থানীয় লোকজন বাবলু মিয়াকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কটিয়াদী মডেল থানার ওসি এসএম শাহাদত হোসেন জানান, আমরা ঘাতক নূরে আলমকে আটক করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে। এছাড়া জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত