ইউপি নির্বাচন: কাঁঠালতলীতে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী নিয়াজ মোর্শেদ
নিজস্ব প্রতিবেদক: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার ৭নং কাঁঠালতলী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনপ্রিয়তায় সব প্রার্থীর চেয়ে এগিয়ে আছেন সাংবাদিক ও মানবধিকার কর্মী নিয়াজ মোর্শেদ।
কাঁঠালতলীবাসী আগামী ২১ তারিখের ভোটে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়াজ মোর্দেশকে দেখতে চায়। তাদের দাবি নিয়াজ মোর্শেদ এলাকার সুশিক্ষিত ও যোগ্য প্রার্থী।
এলাকাবাসী জানায়, নিয়াজ মোর্শেদ সকল সময়েই সাধারণ-অসহায় মানুষের সুখে, দুঃখে পাশে দাড়ান। নিজের ইচ্ছায় ১৩-১৪ বৎসর আগে থেকেই পুরো কাঁঠালতলী ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজ করে আসছেন তিনি। তিনি সমাজের অবহেলিত, নির্যাতিত মানুষের পাশে থেকে তাদের সকল প্রকার সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। এলাকার সকল প্রকার দুর্ণীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন বার বার।
এলাকাবাসী আরও জানায়, কাঁঠালতলী ইউনিয়নের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে বলেশ্বর নদী। নদীতে পানি বৃদ্ধি পেলে ও ছোটখাটো বন্যা হলে এই এলাকার অধিকাংশ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব বিষয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা খোঁজ না নিলেও নিজ উদ্যোগে নিয়াজ মোর্শেদ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মাধ্যমে সেইসব রাস্তাঘাট মেরামদের ব্যবস্থা করেন। এছাড়াও ছোটখাটো সাঁকো এবং রাস্তা এলাকাবাসী ও নিজ অর্থায়নে স্থানীয়দের নিয়ে মেরামত করেন।
নিয়াজ মোর্শেদ দক্ষিণ অঞ্চলে সর্ব প্রথম কাঠালতলী ইউনিয়নের কালিবাড়ী চৌরাস্তায় গড়ে তুলেছেন এম.কে. কম্পিউটারাইজ্ড আইডিয়াল স্কুল নামে একটি ডিজিটাল শিক্ষা প্রতিস্ঠান। যেখানে লেখাপড়া করছে এক ঝাঁক শিশু শিক্ষার্থী। এখানে অসহায়-গরীব মেধাবী শিশুদের বিনা মূল্যে পাঠদান করান তিনি।
এছাড়াও গড়ে তুলেছেন মাস্টার্স কম্পিউটার ট্রেনিং সেন্টার। যেখানে কম খরচে ও মেধাবী-গরীব পরিবারের শিক্ষার্থীদের ফ্রি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ করানো হয়। প্রদান করা হয় বোর্ড কর্তৃক সার্টিফিকেট।
পাথরঘাটা উপজেলার যুব সমাজকে উন্নতির শিখরে পৌঁছে দিতে তিনি সব সময় সতেষ্ট থাকেন। এ জন্য তিনি দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীদের সহোযোগীতায় গড়ে তুলেছেন অ্যাম্বিশন জব কোচিং সেন্টার।
নিয়াজ মোর্শেদ বিভিন্ন সময় সমাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে নিজ উদ্যোগ আয়োজন করেন মাদকবিরোধীসহ নানান সামজিক অনুষ্ঠান। এলাকার নিরক্ষর সাধরাণ মানুষকে তিনি গ্রাম আদালতের বিভিন্ন আইনী পরামর্শ দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে নিয়াজ মোর্শেদ মুক্তকন্ঠকে বলেন, আমার বাবা আহসান কবির কাঁঠালতলীর ৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ছিলেন। তাই ছোট বেলা থেকেই আমি দেখেছি আমার বাবা সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। সেই থেকেই আমার সাধারণ অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আগ্রহ তৈরী হয়। তখন থেকেই আমি শুধু কাঁঠালতলী ইউনিয়ন নয়, পুরো পাথরঘাটা উপজেলার গরীব-দুঃখী ও নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। আর এখন সেইসব মানুষের জোর আবদারে ও তাদের টাকায় আমি এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছি। আমি আশা করি কাঁঠালতলীবাসীর দোয়া ও ভালোবাসায় নির্বাচনে জয় লাভ করে আমার বাবার মতো তাদের সেবা করে যাবো ইনশাল্লাহ।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত