পটুয়াখালীতে লঞ্চ স্টাফদের মারামারি, নিহত ১
পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে এমভি সুন্দরবন-১৪ লঞ্চে স্টাফদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে লঞ্চের কেবিন ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়েছে।
শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বিকেলে পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে এ মারামারি ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লঞ্চের সুপারভাইজার মো. ইউনুস ও কেরানি মশিউরকে আটক করেছে পুলিশ।
সুন্দরবন নেভিগেশনের ব্যবস্থাপক আবুল কালাম ঝন্টু বলেন, ‘কেবিন ভাগাভাগি নিয়ে কেরানি মশিউর রহমানের সঙ্গে আব্দুর রাজ্জাকের কথা-কাটাকাটি হয়। এসময় রাজ্জাক উচ্চবাচ্যে কথা বলতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি স্ট্রোকের রোগী ছিলেন।’
সুন্দরবন-১৪ লঞ্চের সুকানি বজলুর রহমান বলেন, ‘রাজ্জাকের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়েছিল কেরানির। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।’
সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মো. মনিরুজ্জামান বলেন, পুরো বিষয়ে পুলিশ তদন্ত করছে। কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত এবং কীভাবে কি হলো সেই সব বিষয় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়েছি।
পটুয়াখালী পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. ফারুক বলেন, আমার ভাই রাজ্জাককে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এরা দীর্ঘদিন ধরে রাজ্জাক ভাইয়ের ওপর অত্যাচার ও ষড়যন্ত্র করে আসছে। লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুস সে ঘটনার সাথে সাথে কেন হাসপাতালে যায়নি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ইউনুস ও মশিউর দায়ী।
পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, সুন্দরবন ১৪ লঞ্চের রাজ্জাক ভাই শুধু আমাদের নয়, পুরো পটুয়াখালীবাসীর পরিচিত একটি মুখ। দলমত নির্বিশেষে সবাই রাজ্জাক ভাইকে ভালোবাসতো। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।
পটুয়াখালী সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহ ডোমে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে হাসপাতাল এলাকায় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ ডোম ঘরের সামনে অপেক্ষা করছে সকলের প্রিয় রাজ্জাক ভাইকে একনজর দেখার জন্য।
আরও পড়ুন
- সর্বশেষ খবর
- সর্বাধিক পঠিত