সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া দরগাহ বাড়ি মেলায় কয়েক লক্ষ টাকার চাঁদাবাজি বাণিজ্য অভিযোগ

| আপডেট :  ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৭  | প্রকাশিত :  ২৬ জানুয়ারি ২০২৩, ০৯:২৭

সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের মোগড়াপাড়া ঐতিহাসিক দরগা বাড়ির বিশিষ্ট সূফি, স্বাধক,আলেম শরফুদদীন আবু তাওয়ামা সমারোহে হযরত শাহ, হযরত মুন্না শাহের বাৎসরিক ওরশের মেলার নামে কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি বাণিজ্য’ র অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বখাটেদের বিরুদ্ধে

প্রায় অর্ধশত বছরের ও বেশি সময় ধরে চলে আশা এই দরগা বাড়ির মেলাকে কেন্দ্র করে মেলার বিনোদনের জন্য বসানো হয়েছে কৃতিম নৌকা,নাগর দোলা, ট্রেন চরকি, এবং কয়েকশত খেলনা দোকান, পাশাপাশি জিলাপি সহ বিভিন্ন খাবারের দোকান,মেলাকে কেন্দ্র করে মেলায় আসা বিনোদনের জন্য কৃতিম নৌকা, নাগরদোলা ট্রেন চরকি,ও অন্যান্য দোকান থেকে প্রায় কয়েক লাখ টাকা নীরব চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে চাঁদাবাজি র ঘটনায় বিব্রত ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।

স্থানীয়রা জানায়, সোনারগাঁয়ের কয়েকশত বছরের ঐতিহ্য কে ধরে রাখতে মোগড়াপাড়া ইউনিয়নের সাহেব বাড়ির শরফুদদীন আবু তাওয়ামা সমারোহ স্থলে হযরত শাহ ও হযরত মুন্না শাহের মাজার শরিফের পবিএ উরশ মোবারক কে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই মোগড়াপাড়া পাড়া বাজার এলাকায় বাংলা মাঘ মাসের ১২ তারিখ সেই হিসেবে ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ইং সকাল থেকেই মেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশা পাশি বিভিন্ন ধর্মের লোকজন সমাগম হয়। এবারও মেলাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন দোকানপাট আসতে শুরু করে।
কিন্তু ওই এলাকার পিয়ারা সাহেবের ছেলে তৌহিদ,জয়মিয়া সাহেবের ছেলে সুজয়,মিলন সাহেবের ছেলে সুজন,আবুল হোসেনের ছেলে সোহাগ সহ কয়েকজনকে নিয়ে সিন্ডিকেট তৈরি করে বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদা উঠানো শুরু করে।

২৫ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে সরজমিনে গেলে দোকানীরা চাদাবাজির বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন। তারা জানান, এক চটপটির দোকানীর কাছ থেকেই ৫ দিনের মেলা বাবদ আদায় করা হয়েছে (২০) হাজার টাকা।নিমকী ও পিয়াজুর দোকানীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে ৪০হাজার ৫শ টাকা। কৃতিম নৌকা দোলনা ও চরকী বসানো হয়েছে ১,২০,০০০ হাজার টাকার বিনিময়ে। অপরদিকে লেইস ফিতার ২০ টি দোকান থেকে প্রতিদিন সাড়ে ১২শ টাকা আদায়ের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

তাছাড়া খেলনা, বেলুন, রং ট্যাটুর দোকান সহ অন্তত ৫০ টি দোকান রয়েছে,

একজনকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় টেন্ডারে দেয়া হয়েছে, প্রত্যেক দোকান থেকে চাদা ওঠিয়ে এক সাথে চাদাবাজদের দেয়ার শর্তে

আবার দোকানীদের চাদাবাজরা এসব চাদার টাকার বিষয়ে কাউকে না বলার বিষয়ে ভয়ভীতি দেখানোর অভিযোগ ওঠে।

একটি সূত্র জানায়, সিন্ডিকেটটি ৫ দিনের মেলা বাবদ প্রায় পৌনে ৫ লাখ টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পর্যায়ক্রমে তারা নিধার্রিত টাকার বাকী অংশ আদায় করে নিবে।

মঙ্গলবার সন্ধায় মেলায় গিয়ে কথা হয় সাথী চান মিয়া নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, ঐতিয্যবাহী মেলাটি দীর্ঘ বছর ধরে চলে আসছে আগে কখনো কোন দোকান বা বিনোদন থেকে চাঁদাবাজির ঘটনা ঘটেনি। বিগত ৪ -৫ বছর থেকে স্থানীয় কিছু বখাটের কারনে মেলায় চাদাবাজীর ঘটনা ঘটছে।

এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন মেলাকে কেন্দ্র করে মেলার পিছনের অংশে একাধীক তাবু ঘেরে বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ প্রকাশ্যই গাজা বিক্রি ও সেবন করে থাকে।

এসব মাদক ব্যবসায়ী মাদজ সেবন কারিদের কে দিতে হয়। তাবু প্রতি ২ থেকে তিন হাজার টাকা।

কিন্তু মেলায় আসার পর দোকানীরা বিভিন্ন পন্যের এমন দাম চাচ্ছেন যা কেনা সম্ভব নয়। সাহেব বাড়ির মেলায় আশা আরেক দোকানী বলেন, বিদ্যুতের এই সংকটের সময়ে মেলায় প্রায় শতাধিক অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়। এগুলো দেখার কেউ নেই।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক এলাকাবাসী
আক্ষেপ করে বলেন, কয়েক জনের স্বার্থের কারনে আমাদের মেলাটি ঐতিহ্য হারাচ্ছে। বাড়তি টাকা দিয়ে দোকান বসানোর কারনে আমাদের এলাবাসীদের কাছ থেকেই দোকানীরা সেই টাকা তুলে নিচ্ছে। এর প্রভাব পরবে আগামীতে। এই বিষয়ে

এ বিষয়ে মেলা আয়োজন কমিটির সদস্য তৌফিকের কাছে সংবাদকর্মী চাদাবাজীর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমাদের ব্যক্তিগত জায়গায় মেলা বসিয়েছি আমরা যেভাবে বলবো সেভাবেই তাদের দোকানদারি করতে হবে।এবং গণমাধ্যম কর্মীকে নিউজ না করার জন্যত, ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বলেন আপনি একটি নিউজ করবেন আমরা আপনার বিরুদ্ধে ৫০ টি নিউজ করার হুমকি প্রদান করেন।

সোনারগাঁ থানার ইনচার্জ মোঃ মাহবুব আলম জানান, চাদা বাজীর ঘটনা ঘটলে তদন্ত পূর্বক আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত