ধুনটের তরুণ কবি ফ ই ফারুক খান প্রতিকূলতাকে করেছেন জয়

| আপডেট :  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০১:৫৫  | প্রকাশিত :  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১২:৪৪

ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ নিভৃত পল্লীর কোলে বেড়ে ওঠা তরুণ কবি ফ ই ফারুক খান। যিনি বগুড়া জেলার ধনুট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলী দিগর গ্রামে ১৯৮৬ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতা শাহ জামাল খান, মাতা ফরিদা বেগম। কবি অল্প বয়সেই মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হন। ছন্নছাড়া জীবনে প্রতিটি ঘাত প্রতিঘাত মোকাবিলা করেছেন নিজের মত। তবে প্রতিকূল পরিবেশে বেড়ে উঠলেও তাঁর ছিল বাংলা সাহিত্যের প্রতি গভীর অনুরাগ।

বাল্যকালে দাদা মরহুম আলহাজ্ব নায়েব আলী খান ও চাচা ড. শাহ কামাল খানের লেখালেখি দেখে অনুপ্রাণিত হন। সৌখিন লেখক হিসেবে কবি স্কুল কলেজের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বরচিত কবিতা আবৃত্তি করতেন। সম্প্রতি কবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করেন, সেই সুবাদে বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর কবিতা প্রকাশ হয়। এছাড়া বিভিন্ন সাহিত্য সংগঠন থেকে কবি পেয়েছেন স্বীকৃতি ও সম্মাননা। তাঁর লেখা যৌথ কাব্য গ্রন্থের সংখ্যা ৮টি এবং অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি প্রায় সাত শতাধিক। কবির অধিকাংশ কবিতা, গান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম ও পল্লী কবি জসিমউদদীনের ধাঁচের।

শিক্ষা জীবনে কবি ২০০২ সালে খাদুলী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস এস সি এবং ২০০৪ সালে বেগম নুরুন নাহার তর্কবাগীশ ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচ এস সি পাশ করেন। অনুকূল পরিবেশ না পাওয়ায় অনার্সে অধ্যয়নের মাঝ পথে পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। জীবন যুদ্ধে কবি কর্মসংস্থানের তাগিদে বিভিন্ন কোম্পানি ও গার্মেন্টস সেক্টরে কাজ করেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আইসিটি প্রজেক্টে কর্মরত আছেন। কবি ২০১৩ সালে সিরাজগঞ্জ জেলার গান্ধাইল গ্রামের মোছাঃ রত্না খাতুন নামে এক রমনীর সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হন। সকল প্রতিবন্ধকতাকে পিছনে ফেলে কবি লিখছেন অবলীলায়, এ যেন স্রোতের বিপরীতে টিকে থাকা এক সংগ্রামী জীবনের গল্প।

আরও পড়ুন


  • সর্বশেষ খবর
  • সর্বাধিক পঠিত